পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৯৬
কলিকাতার ইতিহাস।

 রায় দীনবন্ধু মিত্র বাহাদুর, মনোমোহন বস, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমৃতলাল বসু, বিহারিলাল চট্টোপাধ্যায় এবং রাজকৃষ্ণ রায়ও বাঙ্গালা সাহিত্যক্ষেত্রে বিশেষতঃ উহার নাটক বিভাগে, সুলেখক বলিয়া খ্যাতি প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছেন: দীনবন্ধুর লেখায় স্পষ্ট বুঝা যায় যে, তিনি লোকের চরিত্র অবিকল চিত্রিত করিয়া সমাজের দোষ সংশোধনের চেষ্টা পাইয়াছেন। তাঁহার নাটকীয় চরিত্র: গুলি তাহাদের নীচতা ও দুশ্চরিত্রতা প্রদর্শনস্থলেও এমন নিপুণতার সহিত হুবহু চিত্রিত হইয়াছে যে, তজ্জন্য গ্রন্থকারকে শতমুখে প্রশংসা করিতে হয়। শ্রীযুক্ত অমৃতলাল বসুর রচনায়ও ঐ গুণ দৃষ্ট হয়। তাঁহার বিদ্রুপাত্মক মর্মভেদী সামাজিক নক্সাগুলি তাঁহার নাম চিরস্মরণীয় করিয়া তুলিয়াছে!

 রামবাগানের দত্তবংশীয়েরা পুরুষানুক্রমে সাহিত্যক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়া আসিতেছেন। এতদ্বংশীয়দিগের মধ্যে যাঁহারা বাঙ্গালীর মুখোজ্জ্বল করিয়াছেন, তন্মধ্যে নীলমণি দত্ত, রসময় দত্ত, রায় শশিচন্দ্র দত্ত বাহাদুর, গোবিন্দ চন্দ্র দত্ত, ঈশানচন্দ্র দত্ত, যোগেশচন্দ্র দত্ত, কুমারী তরুবালা দত্ত, ও, সি, দত্ত এবং রমেশচন্দ্র দত্ত এই কয়েকজনের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এক পরিবারে এতগুলি লেখকের উদ্ভব নিতান্ত বিস্ময়জনক নহে কি? ৺নীলমণি দত্তকে এই বংশের একরূপ প্রতিষ্ঠাতা বলিতে পার। যায়। বাঙ্গালীদের মধ্যে এই নীলমণিই প্রথম ইংরেজী শিক্ষা করেন। তিনি মহারাজ নবকৃষ্ণ যাহাদুরের একজন সুস্থ ও সহচর ছিলেন। রসময় দত্ত কলিকাতা ছোট আদালতের প্রথম দেশীয় জজ হন। রায় শশিচন্দ্র দত্ত বাহাদুর বিবিধ বিষয়ে যে সকল গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন, তাহাতেই তাহার বহুমুখীন বিদ্যাবুদ্ধির পরিচয়