পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৯৮
কলিকাতার ইতিহাস।

তাহা তাঁহার স্বকীয় পরিবারস্থ স্ত্রীলোকদিগের শিক্ষালাভের ব্যবস্থা দ্বারা বেশ বুঝা যায়। তখনকার অধিকাংশ লোকই কলিকাতা স্কুল-বুক সোসাইটির প্রতি সভয়ে দৃষ্টিপাত করিত, কারণ তাহারা মনে করি যে, উক্ত সোসাইটির প্রচারিত গ্রন্থপাঠের ফলে এতদ্দেশীয়দিগের হিন্দুধর্ম্মবিশ্বাসের মুলোচ্ছেদ ঘটিবে; কিন্তু রাধাকান্তের মনে এরূপ অমুক আশঙ্কা স্থান পাইত না। তিনি উক্ত সোসাইটীর একজন উদ্যমশীল সদস্য ছিলেন এবং নিজেও কয়েকখানি বাঙ্গালা স্কুলপাঠ্য পুস্তক লিখিয়া প্রকাশ করিয়াছিলেন।

 উক্ত রাজার ক্রিয়াশীলতা নানাদিকে প্রকাশ পাইত। তিনি বৃটিশ ইণ্ডিয়ান য়্যাসোসিয়েশন নামক সভার প্রথম আজীবন সভাপতি ছিলেন এবং উহাকে এমনভাবে পরিচালিত করিতেন যে, তাহাতে তাহার বিজ্ঞতা ও রাজভক্তির সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যাইত। তিনি কিছুকাল কৃষি ও উদ্যান-সমিতির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি অনেক কাগজে কৃষিবিষক প্রবন্ধ লিখিতেন। তিনি উদ্যানতত্ত্বঘটিত একখানি পারসী গ্রন্থের ইংরেজী অনুবাদ প্রস্তুত করেন। বিলাতের রয়াল সোসাইটীর উপদেশে ও অনুরোধে ঐ অনুবাদ মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। “শব্দকল্পদ্রুম” নামক সুবৃহৎ সংস্কৃত অভিধানের প্রচারই তাঁহার জীবনের মহত্তম কার্য্য। এই কার্য্যসাধনে বহু পরিশ্রম এবং চত্বাবিংশৎ বর্ষাধিক সময় ও প্রভূত অর্থব্যয়ের প্রয়োজন হইয়াছিল। এই গ্রন্থ মুদ্রিত করিবার নিমিত্ত রাজাকে একটি মুদাযন্ত্র স্থাপন করিতে এবং বিশেষ প্রকারের অক্ষর প্রস্তুত করাইভে হইয়াছিল। এই কার্য্য দ্বারা তিনি বিশ্বব্যাপী যশ লাভ করেন। বিলাতের “রয়াল এসিয়াটিক সোসাইটী” প্যারী নগরের “এসিয়াটিক সোসাইটী’ কোপেন