পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম অধ্যায়।


ইউরোপীয় সমাজ।


 বৈদেশিক জাতির আচার-ব্যবহার ও রীতি-পদ্ধতি সম্বন্ধে কোন কথা বলিতে যাওয়া নিতান্ত দুঃসাহসিকের কর্ম্ম। তাহাদের মনোভাবের ভিতর প্রবেশ করা এবং তাহাদের রুচি ও প্রবৃত্তির সহিত সহানুভূতি প্রকাশ করা সহজ নয়। নিজ প্রকৃতির ও স্বভাবজাত ধারণার পরিবর্ত্তন করিতে না পারিলে বৈদেশিক আচার-ব্যবহারের মর্ম অবধারণ করিবার আশা করা বিড়ম্বনা মাত্র। বৈদেশিক জাতির সামাজিক জীবনের প্রকৃত রহস্য বুঝিতে হইলে উভয়ের সতত ও অব্যাহত সংমিশ্রণ একান্ত আবশ্যক। যে সকল ইউরোপীয় লেখক—যাঁহাদিগের সাধু উদ্দেশ্যের ও সদন্তঃকরণের বিষয়ে সন্দেহ করিবার কোন কারণ নাই, তাঁহারাও হিন্দুদিগের সামাজিক জীবন ও আচার-ব্যবহার বর্ণন করিতে যাইয়া অতি গুরুতর ভ্রমে পতিত হইয়াছেন। এতাদৃশ অবস্থায় হিন্দুরা ইউরোপীয় সমাজের আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতির বিচার করিতে যাইয়া যে বিষম ভ্রম করিয়া বসিবেন, তাহাতে আশ্চর্য্যের বিষয় কি আছে? আজন্ম বদ্ধমুল ভ্রান্তসংস্কার যারা বিচার-বুদ্ধি কিরূপ কলুষিত হয়, তাহা কলিকাতা রিভিউ পত্র হইতে পশ্চাদুদ্ধৃত বিবরণ হইতে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যাইবে।

 “ইউরোপীয় রমণীদিগের নৃত্য দর্শনে দেশীয়দিগের মনে এক অদ্ভুত ধারণা জন্মে। কতিপয় বৎসর গত হইল, জনৈক দেশীয়