পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩১৮
কলিকাতার ইতিহাস

পদতলে পুরাইয়া দেওয়া হয়। এই বেশপরিবর্তন ব্যাপারে তিনি কিছুমাত্র আয়াস স্বীকার করেন না, পুত্তলবৎ নিশ্চেষ্ট থাকেন। এই কার্যে ন্যূনাধিক অর্ধ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়। তৎপরে ক্ষৌরকার প্রবেশ করিয়া তাহার ক্ষৌরকার্য সম্পন্ন করে, নখ কাটিয়া দেয় ও কর্ণমল পরিষ্কার করে (অর্থাৎ ‘কাণ দেখে’) অতঃপর জনৈক ভৃত্য চিলম্‌জি ও ‘মগ্’ আনয়ন করে, এবং তাঁহার মস্তকে জল ঢালিয়া দেয়, হস্ত মুখ প্রক্ষালন করিয়া দেয় ও হস্তে তোয়ালে অর্পণ করে। প্রভু তখন মহাড়ম্বরে প্রাতর্ভোজনাগারে প্রবেশ করিয়া আসন গ্রহণ করেন; খানসামা চা প্রস্তুত করিয়া ঢালিয়া দেয় এবং এক প্লেট রুটি বা ‘ষ্টোষ্ট্' প্রদান করে। এই সময়ে কেশ-সংস্কারক পশ্চাদ্দেশে আসিয়া আপনার কাজ আরম্ভ করিয়া দেয়, ওদিকে হুঁকাবরদার হুঁকার (গুড়গুড়ির বা ফরসির) নলের মুখটি প্রভুর হস্তে প্রদান করে। একদিকে কেশসংস্কারক আপনার কর্ম্ম করিতে থাকে, অপরদিকে সাহেব পর্যায়ক্রমে ভোজন, পান ও ধূমপান করিতে থাকেন। ক্রমে তাঁহার মুৎসুদ্দী বিনীতভাবে সেলাম করিতে করিতে আসিয়া উপস্থিত হয় এবং অন্যান্য অনুচর অপেক্ষা কিঞ্চিৎ অধিক নিকটে গমন করে। প্রার্থীদিগের মধ্যে দুই একজন নামজাদা লোক থাকিলে, তাঁহাদিগকে বসিবার জন্য চেয়ার দেওয়া হয়। এই সমস্ত ব্যাপার প্রায় ১০টা পর্যন্ত চলিতে থাকে। অতঃপর প্রভু অনুচরবর্গে পরিবৃত হইয়া পাল্কীর ভিতর প্রবেশ করেন, এবং তাঁহার অগ্রে অগ্রে ৮ হইতে ১২ জন চোবদার, হরকরা ও চাপরাশী স্ব স্ব পদের পরিচায়ক চিহ্ন এবং ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের পাগড়ি ও কোমরবন্দবিশিষ্ট বিশেষ বিশেষ প্রকারের পরিচ্ছদ ধারণ করিয়া এক প্রকার লাফা-