পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

একাদশ অধ্যায়।
৩২৭

কাজ করিয়া যাইতেছে। এই জন্যই পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকার আচার-ব্যবহার দৃষ্ট হইয়া থাকে। যে ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্য পাশ্চাত জগতে একটি মহৎ গুণ, এ দেশে তাহাই অনেক সময়ে ঘোর স্বার্থপতায় পরিণত হইয়াছে। যে ভোগবিলাসময় জীবনযাপন প্রণালী পাশ্চাত্য জগতে বহু উৎকর্ষসাধক গুণের উত্তেজক বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছে, আমাদের সমন্ধে তাহাই বিপরীত ফল প্রসব করিয়াছে। বিভিন্ন জাতির বিশেষ বিশেষ ভাব কিরূপে উৎপন্ন ও পরিপুষ্ট হইয়াছে, তাহা ইতিহাস পাঠে অবগত হওয়া যায়। উহারা যুগযুগান্তর ধরিয়া নীরবে উৎপন্ন হইয়া আসিয়াছে। এক এক জাতির ধর্ম্ম, আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি ও বৃত্তিব্যবসায় দ্বারা উহারা নির্ধারত হইয়াছে। উহাদের নির্ধারণ পক্ষে দেশের জলবায়ুর অবস্থাও সামান্য কারণ নহে। বক্‌ল সাহেবও ইহা প্রতিপন্ন করিয়াছেন।

 জাতিমাত্রেরই নিজের একটা ধর্ম্ম আছে, সে ধর্ম্মটি তাহার বিশেষ উপযোগী এবং তাহাতেই সেই জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি। আদি নিবাসীদিগের মধ্যে খ্রীষ্টধর্ম্মের প্রচারেও তাহাদের মধ্যে সভ্যতাবিস্তার হয় নাই। তাহাতে ঐ সকল অসভ্যজাতির নৈতিক অবস্থা বা জ্ঞান-বুদ্ধি উন্নত করিতে পারে নাই। এই সমস্ত অসভ্যজাতির মধ্যে কেহ কেহ ইউরোপীয়দিগের আচারব্যবহারের অনুকরণ করিয়াছে, কিন্তু তাহারা তদনুসারে কোনবিশেষ উপকার লাভ করিতে পারিয়াছে বলিয়া বোধ হয় না। কথিত আছে যে, ভগবানের আদেশ পালন করিবার নিমিত্ত,—কোনও মহান ভাব কর্য্যে পরিণত করিবার জন্য,—জতিসমুহের জন্ম হইয়াছে,—থবা প্রকৃত কথা বলিতে হইলে, তাহারা সেই ভগবান