পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় অধ্যায়।
৪৩

আবদ্ধ হস্তদ্বার। লিখিত হয়, সেস্থলে সত্যের আশা করা বিড়ম্বনামাত্র।” উক্ত লেখক আরও বলিয়াছেন -“উহা গঙ্গার পশ্চিম তীরে ২৫°২'২৫” উত্তর অক্ষান্তরে এবং ৮৭°৫২'৫১” পূর্ব দ্রাঘিমাস্তরে অবস্থিত। উহা এক্ষণে কতকগুলি মৃন্ময় কুটীরের সমষ্টিমাত্র, তাহারই মধ্যে মধ্যে অত্যল্পসংখ্যক সঙ্গতিপয় মুসলমানের কয়েকটা সৌষ্ঠবসম্পন্ন ভদ্রজনোচিত বাটী। প্রাচীন মহম্মদীয় নগরের ধ্বংসাবশেষ অধুনা নিবিড় জঙ্গলে সমাচ্ছন্ন এবং বর্তমান নগরের পশ্চিমে প্রায় ৪ মাইল বিস্তৃত।” আর এক স্থলে তিনি লিখিয়াছেন: —“রাজমহলের অবস্থানের কথা বিবেচনা করিয়া দেখিলে উহা দুই কারণে রাজধানীরূপে মনোনীত হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয় প্রথমতঃ উহা বাঙ্গালা ও বিহারের মধ্যস্থলে, এবং দ্বিতীয়ত, ঐ স্থান হইতে গঙ্গানদী ও তেলিয়াগড়ি গিরিসঙ্কট উভয়ের উপরই সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা সম্ভব; ঐ তেলিয়াগড়ি গিরিসঙ্কটের মধ্য দিয়া এক্ষণে রেলগাড়ী চলিতেছে। মুসলমানেরা ঐ স্থানকে আকবরনগরও বলিয়া থাকে। উক্তবিধ নামকরণ সম্বন্ধে এইরূপ একটা গল্প প্রচলিত আছে সুপ্রসিদ্ধ রাজপুত সেনাপতি উড়িষ্যাবিজয়ের পর প্রত্যাগত হইয়া রাজমহলে নিজের জন্য একটি প্রাসাদ ও তদ্ভিন্ন একটি হিন্দু দেবমন্দির নির্মাণ করিতে আরম্ভ করেন। বিহারের শাসনকর্তা ফতেজঙ্গ খাঁ। রাজপুতদিগের আগমনের পূর্ব্বে রাজমহলে বাস করিতেন। তিনি সম্রাটকে লিখিয়া পাঠাইলেন যে, মানসিং পুত্তল পুজার নিমিত্ত একটি মন্দির নির্মাণ করিয়া নগরকে অপবিত্র করিতেছেন। এবং স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে, তিনি বিদ্রোহী হইবার অভিপ্রায় করিয়াছেন। মানসিংহ এই পত্রের কথা শুনিয়া নগরের নাম রাজমহলের পরিবর্তে