পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
কলিকাতার ইতিহাস।

আকবরনগর রাখিলেন এবং দেবমন্দিরটিকে জুম্মা মসজিদে পরিবর্তন করিলেন।

 পাদরী লঙ সাহেব বলেন, শত রাজার নগর:রাজমহল গঙ্গা নদীর ‘ব’ দ্বীপের অগ্রদেশে অতি সুবিধাজনক ভাবে অবস্থিত.........।” ঢাকা নগররও উল্লেখ দৃষ্ট হয়। ইহার যশঃসৌরভ রোমীয়কাল হইতে দিগদিগন্তে ব্যাপ্ত হইয়াছিল। ওয়াটার হ্যামিল্টন সাহেব তাঁহার গেজেটিয়ারে বলিয়াছেন:—“১৬০৮ (?)[১] খ্রীষ্টাব্দে বাঙ্গালার তদানীন্তন সুবাদার ইসলাম খাঁ রাজধানী রাজমহল হইতে উঠাইয়া; যা ঢাকানগরে লইয়া যান, এবং তদানীন্তন সম্রাটের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শনস্বরূপ উহার নাম পরিবর্তিত করিয়া জাহাঙ্গির নগর রাখেন ......। কথিত আছে যে, সুবাদার সায়েস্তা খার দ্বিতীয়বারের শাসনকালে ঢাকায় চাউল এরূপ স্বল্পমূল্য ছিল যে, বাজারে টাকায় ৮ মণ করিয়া চাউল বিক্রীত হইয়াছিল। এই ব্যাপার স্মরণীয় করিবার নিমিত্ত তিনি ১৬৮৯ অব্দে যৎকালে ঢাকা পরিত্যাগ করিতে উদ্যত হইলেন, সেই সময়ে তাঁহার আদেশক্রমে পশ্চিমদিকের তোরণ নির্মিত হই তাহাতে এইরূপ একটী ক্ষোদিত লিপি সংস্থাপিত হয় যে, উত্তরকালীয় কোনও শাসনকর্তা যত দিন না তণ্ডুলের মূল্য হ্রাস করিয়া তাহা এইরূপ স্বল্পমূল্য করিতে পারিবেন, ততদিন তিনি এ তোরণ উন্মুক্ত করিতে পারিবেন না। এই নিষেধাজ্ঞার জন্য উক্ত তোরণ ১৭৩৯ অব্দে সরফরাজ খাঁর শাসনকাল পর্যন্ত বদ্ধ ছিল। বর্তমান সময়ে


  1. টুইলিঙ সাহেব বলেন যে, ১৬৩৯ অব্দে শাহ সুজা গৌড় হইতে রাজমহল নগরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।