পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
কলিকাতার ইতিহাস।

প্রবাহের এই মহাপরিবর্ত্তন ঠিক কোন সময়ে ঘটিয়াছিল, তাহা সুনিশ্চিতরূপে বলিতে পারা যায় না; পরন্তু এ সম্বন্ধে ডাক্তার বুকানন হামিলটনের অনুমানই সম্ভবপর বলিয়া বোণ হয়, অর্থাৎ গঙ্গার সহিত কুশীনদীর মিলন হইতেই এই ঘটনা ঘটিয়া থাকিবে। গঙ্গার স্বর্গ হইতে অবতরণসম্বন্ধে রামায়ণে মহর্ষি বাল্মীকি যে আখ্যায়িকার বর্ণন করিয়াছেন, তাহা সকলেই বিদিত আছেন। গল্পটি এইরূপ ঃ—মহারাজ সগরের ষষ্টি সহস্র পুত্র পিতার নিমিত্ত অশ্বমেধ-যজ্ঞ করিবার সময়ে কপিল মুনির শাপে ভস্মীভূত হন। অনন্তর সগরের প্রপৌত্র ভগীরথ স্তবে তুষ্ট করিয়া গঙ্গাকে মর্ত্যলোকে আননপুর্ব্বক পূর্বপুরুষগণের উদ্ধার সাধন করেন। সেই জন্যই হিন্দুরা গঙ্গাকে পবিত্র জ্ঞান করিয়া তাহার আরাধনা করেন। এই নদীর নিম্নভাগ ভাগীরথী নামে অভিহিত। এতদ্দেশীয়েরা অদ্যাপি তাহাকে ভাগীরথীই বলে, হুগলী বলে না। এ নামটী সম্পূর্ণ আধুনিক এবং হুগলী নগরের নাম হইতে উৎপন্ন, আর তাহাও অধিক দিনের কথা নহে। প্লিনির সময় হইতে বাঙ্গালার সর্বপ্রধান বাণিজ্য স্থান এবং প্রাচীনদিগের নিকট Ganges Regia আখ্যায় অভিহিত সুপ্রসিদ্ধ সাতগাঁ(সপ্তগ্রাম) নামক নগরের ধ্বংসের পর হুগলী নগর প্রাধান্য লাভ করিতে আরম্ভ করিলে এই নদীও ঐ নামে অভিহিত হইতে আরম্ভ করে। পর্ত্তুগীজেরা হুগলীকে Parts plaquous নামে অভিহিত করিত। ১৬৩২ অব্দে উহা রাজকীয় বন্দররূপে পরিণত হয়, আর সম্ভবতঃ ঐ সময় হইতে ভাগীরথী নদীও হুগলী নামে অভিহিত হইতে আরম্ভ করে॥

 কলিকাতার বায়বীয় আর্দ্রতা সাধারণতঃ অত্যন্ত অধিক বলিয়া বিবেচিত হইয়াবথাকে। ব্লানফোর্ড সাহেব অবধারণ করিয়াছেন