পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চম অধ্যায়।

কলিকাতার ভূবৃত্তান্ত ও অধিবাসী।

 পূর্বে যাহা বলা হইল, তাহা হইতে স্পষ্টই দেখা যাইতেছে যে, প্রথম প্রথম যে সকল মহাপুরুষ এদেশের শাসনভার প্রাপ্ত হইতেন, তাঁহারা যে নগরের মিউনিসিপাল ব্যাপারে কেবল নিজের ব্যক্তিগতভাবে যত্ন প্রকাশ করিতেন তাহা নহে, প্রত্যুত তাঁহারাই ইহার সর্ব্বময় কর্তা ছিলেন। যে প্রজাদের স্বার্থ এই মিউনিসিপ্যাল ব্যাপারের সহিত বিশেষ ভাবে বিজড়িত, সেই প্রজাদিগের এ বিষয়ে কোনও হাতই ছিল না। পরন্তু ইংরেজের ন্যায় জ্ঞানালোক প্রাপ্ত ও উদারহৃদয় রাজার পক্ষে চিরদিন প্রকৃতিবর্গকে তাহাদের স্বার্থ-সংসৃষ্ট নগরের পৌর-শাসনকার্যের তত্ত্বাবধানরূপ ন্যায্য অধিকার হইতে বঞ্চিত রাখা কখনই সম্ভবপর নয়। সেইজন্যই আমরা দেখিতে পাই যে, মিউনিসিপাল-শাসন মেয়র ও য়্যালডারম্যানদিগের হস্ত হইতে ক্রমে ক্রমে জষ্টিস্ অব দি পীস্ আখ্যাধারী ব্যক্তিগণের হস্তে চলিয়া গিয়াছিল; কিন্তু এই শেষোক্ত ব্যক্তি দিগের প্রধান কার্য্য ছিল-রাস্তাগুলি মেরামত করা ও পরিষ্কার রাখা। এক্ষণে ইহা অবশ্য সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে যে, কলিকাতার দ্রুত ক্রমোন্নতির সহিত নগরের মিউনিসিপাল কার্য্যও বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, অথচ জষ্টিসদিগের হতে যে সামান্য ক্ষমতা ও কার্য্যভার অর্পিত হইয়াছিল, তাহাতে কাজের বড়ই অসুবিধা হইতে লাগিল। অবশেষে গবর্ণমেণ্ট প্রজাদিগকে মিউনি-