পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অধ্যায়।
৮৫

অন্যূন ২৬৮টি পাকা বাড়ী দেখান হইয়াছে। কুটীরগুলিও দেখান হইয়াছে বটে, কিন্তু সেগুলি সম্বন্ধে তেমন যত্ন বা সাবধানতা অবলম্বিত হয় নাই, এবং অনেক গুলি পরিত্যক্তও হইয়াছে।

 মহারাজ নবকৃষ্ণ বাহাদুরও ব্রাহ্মণপণ্ডিতগণকে ও অন্যান্য জাতীয় লোকদিগকে কলিকাতা বাস করাইবার জন্য বিলক্ষণ চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি ঐ সকল লোককে জমি দিতেন, বাড়ী করিয়া দিতেন, এং অন্যান্য অনেক প্রকারে তাহাদের সাহায্য করিতেন। সুদূর উড়িষ্যা হইতে আগত ব্রাহ্মণগণকে তিনি কলিকাতার সমাজে পাকরূপে চালাইয়াছিলেন। সে কালে উড়িয়া ব্রাহ্মণের পাক খাওয়া সামাজিক হিসাবে বড় বিপদের কথা ছিল। এখনও এমন অনেক হিন্দু পবিবার আছেন, যাঁঁহারা উড়িয়া ব্রাহ্মণের হাত খান না। উক্ত মহারাজের ন্যায় তাঁহার বংশধরেরাও উড়িয়াদিগের প্রতি অদ্যাপি বিশেষ অনুগ্রহ প্রকাশ করিয়া থাকেন—তাহাদের অনেককে আপনাদের বাড়ীতে বিনা ভাড়ায় থাকিতে দেন। জনৈক লেখক উড়িয়া বেহারাদের বিষয় বর্ণন করিতে করিতে বলিয়াছেন, উহার অতি প্রাচীনকাল হইতে কলিকাতায় আছে, কারণ সে কালে পাল্কিই প্রধান যান ছিল। ১৭৭৬ অব্দে যে হিসাব করা হইয়াছিল, তাহাতে দেখা যায় উহারা শিবিকা বহন করিয়া প্রতি বৎসর তিন লক্ষ টাকা দেশে লইয়া যাইত। অধুনা এই অতি প্রয়োজনীয় শ্রমজীবি শ্রেণীর লোকেরা ইউরোপীয় ও দেশীয় ধনবানদিগের গৃহে চাকরের কাজে নিযুক্ত হইয়া থাকে। অন্যান্য বিবিধ কাজে উড়িয়ারা দিনমজুরিও করে। শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু স্বপ্রণীত বিশ্বকোষ নামক বাঙ্গালা অভি-