পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
কলিকাতার ইতিহাস।

লালবাজার স্ট্রীট কলিকাতার মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট রাস্তা ছিল। তৎ কালে উহা কষ্টম হাউস হইতে বৈঠকখানা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

 ১৭৫৭ সালের পূর্ব্বে শোভাবাজার ও পারিয়াঘাটা জঙ্গলে সমাচ্ছন্ন ছিল। মহারাজ নবকৃষ্ণ বাহাদুর ঠাকুরগণ ও অন্যান্য প্রাচীন বংশ ঐ সকল স্থান বাসযাগ্য করেন। রাজা নবকৃষ্ণের ষ্ট্রীট নামক রাস্তাটী তিনি নিজ ব্যয়ে নির্মাণ করাইয়া গবর্ণমেণ্টকে অর্পণ করেন। তিনি বেহালা হইতে কুলপি পর্যন্ত ৩২ মাইল দীর্ঘ আর একটী রাস্তাও নির্মাণ করাইয়াছিলেন।

 টীরেট নামক একজন ফরাসী রাস্তা ও অট্টালিকার সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট অর্থাৎ তত্ত্ববধায়ক ছিলেন। তাঁহারই নামানুসারে ‘টিরেটাবাজার’ নাম হইয়াছে। তিনি ১৭৮৮ সালে বাজার বসান; তৎকালে মাসিক আয় ৩৮০০ টাকা ছিল, এং উহার মূল্য দুই লক্ষ টাকা নির্দ্ধারিত হইয়াছিল। টিরেট সাহেব দেউলিয়া হওয়ায়, তাঁহার বিষয়সম্পত্তি সমস্তই লটারিতে বিক্রীত হইয়া যায়।

 মিশন রো নামক রাস্তাটীর পূর্ব্ব নাম রোপওয়াকু; পরে মিশন চর্চ্চ নামক গির্জার নামানুসারে ঐরূপ নামকরণ হয়। ১৭৫৭ সালের কলিকাতা অবরোধকালে ঐ স্থানে একটী তুমুল যুদ্ধ হইয়াছিল। সেই সময়ে নবাবের সৈন্যরা গির্জ্জাটী ভাঙ্গিয়া ফেলে। পরে ১৭৬৭ অব্দে উহা পুননির্মিত হয় প্রথম প্রোটেষ্টাণ্ট মিশনারি (ধর্ম্মপ্রচারক) কির্ণাণ্ডা ঐ গির্জ্জা নির্মাণ করিয়াছিলেন।

 ওল্ড কোর্ট হাউস(প্রাচীন সভাগৃহ) বা টাউন হলের নামানুসারে ওল্ড-কোর্ট হাউস স্ট্রীটের নামকরণ হইয়াছে। ঐ গৃহটি ১৭২৫-২৭ এই কালমধ্যে কোনও সময়ে বুর্শিয়ার নামক জনৈক বণিক কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল। উক্ত ব্যক্তি ল সাহেবের পরে