পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
কলিকাতার ইতিহাস।

পায় না। এই জন্যই কোনও পল্পী বা রাস্তার সহিত অধিবাসীদিগের কোনও রূপ সংস্রংবই দৃষ্ট হয় না।

 সহরের উত্তরাঞ্চলের বাড়ী অতি বিশৃঙ্খলভাবে নির্ম্মিত হইয়াছে; উহাদের নির্মাণে কোনওরূপ শৃঙ্খলা বা পারিপাট্য দৃষ্ট হয় না, কিংবা স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য যাহা যাহা আবশ্যক, তাহার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয় নাই। ওয়ারেন্ হেষ্টিংস সাহেবই সর্ব্বপ্রথম কার্যতঃ স্থাপত্য শিল্পের প্রতি তাহাদের অনুরাগের পরিচয় প্রদান করেন। রাজকীয় স্থাপত্যশিল্পী উইলিয়াম হজেস সাহেব বলেন-“পরন্তু ইহার(কলিকাতার) সৌন্দর্যের ও ঐশ্বর্যাড়ম্বরের নিমিত্ত ইহা একমাত্র ভূতপুর্ব গভর্ণর জেনালের উদারতা ও সুরুচির নিকট ঋণী; এবং ইহা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে যে প্রকৃত স্থাপত্যশিল্পের নিদর্শন রূপে পরিচিত হইবার যোগ্য। প্রথম সৌধ হেষ্টিংস সাহেব কর্তৃক নির্ম্মিত হয়। বস্তুতঃ উক্ত গৃহটী উত্তরকালে নির্ম্মিত অনেক অট্টালিকা অপেক্ষা ক্ষুদ্রায়তন হইলেও, উহার রচনাপ্রণালী যে সকলগুলি অপেক্ষা বিশুদ্ধতর, তাহাতে সন্দেহ নাই।” ১৭৮০ অব্দে বিবি কে ওয়ারেন্ হেষ্টিংসের বেলভেডিয়ার ভবনের বর্ণনা করিয়া বলিয়াছেন—“ভবনটী একটী নিখুত রত্ন এবং অগাধ অর্থে যতদূর হইতে পারে, সেইরূপ আড়ম্বরসহকারে উৎকৃষ্ট প্রণালীতে সজ্জিত। ভবনসংলগ্ন চত্বরে বৃক্ষলতাতৃণাদি যে ভাবে সজ্জিত হইয়াছে, তাহাতে সুরুচির যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। কিছুদিন পরে তিনি ‘হেষ্টিংস হাউস্' নামে আর একটী ভবন নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন। বর্ত্তমান রাজপ্রতিনিধি লর্ড কার্জন বাহাদুর সেই ভবনটি সংপ্রতি ত্রুয় করিয়া অভ্যাস করুদরাজগণের বাসের নিমিত্ত পরিপাটী করিয়া সাজাইয়াছেন: হেষ্টিংস সাহেব তাঁহার প্রিয় জলবিহার স্থল সুক-