পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অধ্যায়।
৯৩

সাগর নামক স্থানে আর একটী ভবনও প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। তদ্ভিন্ন বারাসাতেও একটা পল্লীভবন ছিল,সেটী গভর্ণর কার্টিয়ারের প্রিয় বাসস্থান; উহা ১৭৬০ অব্দ বা তৎসমকালে নির্ম্মিত হইয়াছিল। দমদমায় লর্ড ক্লাইভেরও একটি বিশ্রামভবন ছিল।

 অনেক স্বনামখ্যাত দেশীয় ভদ্রসন্তানও কলিকাতায় ও তৎসনিহিত স্থানে বাসভবন নির্মাণ করতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। রায় বাঁয়া মহারাজ রাজত বাহাদুর সূতানুটীতে বাস করিনে। মহারাজ নন্দকুমারের পুত্র রায় রয়া মহাঙ্গি গুরুদাস সূতানুটীর মধ্যস্থ চড়কডাঙ্গায় বাড়ী করিয়াছিলেন। গভর্ণর ভ্যান্সিটার্ট সাহেবের বেনিয়ান (মুৎসুদ্দি) ও আব্দুল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা দেওয়ান রামচরণ পারিয়াটায় থাকিতেন। দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের জোড়াসাঁকোতে বাড়ী ছিল। ওয়ারেন হেষ্টিংসের বেনিয়ান কান্তবাবুও জোড়াসাঁকোয় থাকতেন। হইলার সাহেবের দেওয়ান দর্পনারায়ণ ঠাকুর পাথরিয়াঘাটায় থাকিতেন। রিচার্ড বারওয়েল সাহেবের পারস্যশিক্ষক মুন্সি সদরুদ্দীন মেছোবাজারে থাকিতেন। রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্রের পূর্বপুরুষ রাজা পীতাম্বর মিত্রও মেছোবাজারে থাকিতেন। রামকৃষ্ণ দত্তের পুত্র মদনমোহন দত্ত সূতানুটীর অন্তর্গত নিমতলায় বাস করিতেন। পাটনার কার্শাল রেসিডেণ্টের দেওয়ন বনমালী সরকার এবং তাঁহার নায়েব দেওয়ান দুই জন্মেই কুমারটুলিতে থাকিতেন। কলিকাতায় ইংরেজ জমিদারের দেওয়ান গোবিন্দরাম মিত্রও কুমারটুলিতে থাকিতেন। তিনি চিৎপুর রোডের উপর একটি নবরত্ন মন্দির নির্ম্মান করেন। ঐ মন্দিরের টী চূড়া, এবং তাহায় সর্বোচ্চ চুড়াটী গড়ের মাঠের অক্টার্লোনি মকুমেণ্ট অপেক্ষাও উচ্চতর। প্রধান মন্দির ও সর্বোচ্চ চূড়াটী