পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা কল্পলতা ৪০০ অশ্বারােহীপিণ্ডারীসহসা উপস্থিত হইয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করে। মুনিরুদ্দিন ও রামচরণ প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়া পরিশেষে সদলবলে নিহত হন। রামচরণের তিন পুত্র-রামসুন্দর, মাণিক্যচন্দ্র এবং নবকৃষ্ণ । রামচরণ স্বীয় সমুদয় হুগলী নগরীর ফকীর তজ্জার নামক জনৈক ধনবান বণিকের গচ্ছিত রাখিয়াছিলেন নিকট। ফকীর তজ্জারের মৃত্যু হইলে উক্ত পিতৃহীনত্রয় একেবারে সৰ্ব্বস্বান্তপ্রায় হইলেন কিন্তু রামচরণের পত্নীঅতিবুদ্ধিমতী ছিলেন তিনি বিস্তর আবাসে অবশিষ্ট সম্পত্তিরক্ষণাবেক্ষণপূৰ্ব্বস্বীয় সন্তানদিগকেউত্তমরূপে লেখাপড়া শিখাইয়াছিলেন।ইতিপূৰ্ব্বে ভাগীরথীর তীরবর্তীহুগলীনগরীর বাটী জলসাৎ হওয়ায় ইহারা মুড়াগাছার অন্তঃপাতী পঞ্চগ্রামের (পাঁচ গাঁ) বাটীতেগিয়াছিলেন।বাং ১১৩৭ অব্দেরাজা নবকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। যাহা হউক উক্ত বুদ্ধিশীলা স্ত্রীলােক পুনৰ্ব্বার গােবিন্দপুরে আসিয়া এক নূতন বাটী নিৰ্মাণপূৰ্ব্বক পুত্রগণসহ বাস করিতে লাগিলেন। নবকৃষ্ণ শৈশবাবস্থা উত্তীর্ণ হইতে না হইতে স্বীয় অসাধারণ ধীশক্তির বিলক্ষণ লক্ষণ প্রদর্শন করতঃ অতি অল্পকালমধ্যে একজন সুনিপুণ পারশ্যবিদ্যাবিৎ রূপে বিখ্যাত হইলেন।তিনি মুর্শিদাবাদে যাইয়া উক্ত বিদ্যায় সমীচীনতা লাভকরেন এবং কলিকাতায় থাকিয়া চলন মত ইংরাজী ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন। সে সময়ে শেষােক্ত ভাষায় পারদর্শিতা লাভ করা কিরূপকঠিন ব্যাপার ছিল তাহা সকলে বুঝিতে পারেন।নবকৃষ্ণের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রামসুন্দর ব্যবহৰ্ত্তা পঞ্চকূটের তত্ত্বাবধায়ক পদে নিযুক্ত থাকিয়া স্বীয় পরিবারদিগকে প্রতিপালন করেন। সিরাজউদ্দৌলার আগমন সংবাদে ড্রেক সাহেব যে সময় অত্যন্ত চিন্তিত ছিলেন সেই সময়ে মুর্শিদাবাদ হইতে রাজা রাজবল্লভ দূত

98

৭৪
৭৪