পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় E t তাহার পুত্র পৌত্রাদিক্রমে নির্দিষ্টকরিয়া তাহার হস্ত ধরিয়া হস্তীর উপর আরােহণ করাইলে সভাভঙ্গ হইল। মহারাজা নবকৃষ্ণ মহা আড়ম্বরে গভর্ণমেন্ট হাউস হইতে স্বগৃহে প্রত্যাগমন করেন। কলিকাতায় সেরূপ ঘটা বহুকাল হয় নাই। এই স্থলে ইহাও বক্তব্য যে, গােবিন্দপুরে নূতন দুর্গ নির্মাণ অবধারিত হইলে সেখানকার অন্যান্য পরিবারদিগের ন্যায় ব্যবহওঁ পরিবারও স্থানভ্রষ্ট হইয়া তাহার পরিবর্তে আড়পুলীতে দশ বিঘা ভূমি ও বাটীর মূল্য ৫০০০ টাকা প্রাপ্ত হন। কিন্তু আড়পুলীতে ভূমির প্রতি রামসুন্দর ব্যবহত্তার বিরাগ থাকায় ১৭৬৩ অব্দে সুতালুটিতেএকবিঘা ভূমিও একটিবাটক্রয়করিয়া বসতিকরিলেন। ঐ বাটী পূৰ্ব্বে রামশঙ্কর ঘােষের ছিল—ঐভূমিখণ্ড মালকম্নামক কোন সাহেবের ঋণ পরিশােধাৰ্থ বিক্রীত হয়। ঐ বাটীই শশাভাবাজারীয় রাজবাটীর আদ্যস্থান। মহারাজ নবকৃষ্ণ অনুমান ১৭৬৪ অব্দে উক্ত প্রাসাদশ্রেণী নির্মাণ করাইতে আরম্ভ করিয়া ১৭৮০ অব্দে তাহা সমাপ্ত করান। এই স্থান পূৰ্ব্বে “পবনাবাগ” নামে খ্যাত ছিল। শঙ্কর ঘােষের বাটীর চতুর্দিকে তিনি প্রথমতঃ বিংশতি বিঘা ভূমি ক্রয় করিয়া তাহাতে ঠাকুরবাটী, দেওয়ানখানা ও অন্তঃপুর প্রভৃতি বিবিধ খণ্ড নির্মাণ করাইয়া অবশিষ্ট ভূমিতে উদ্যান স্থাপন করিলেন। এই সমস্তএখন রাজা রাধাকান্তের সম্পত্তি। আর তিনি রাস্তার দক্ষিণ ধারে আরও ১৬ বিঘা ক্রয়পূৰ্ব্বক যে প্রাসাদশ্রেণী নির্মাণ করান, সেখানে এখন রাজা শিবকৃষ্ণ ও তভ্রাতৃগণবসতিকরিতেছেন।পুরাতন বাটীতে যেনবরত্ন রহিয়াছে, তাহা মহারাজা নবকৃষ্ণের প্রধান মহিষী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শশাভাবাজার রাজবাটীর পত্তন অবধি একাল পর্যন্ত তাহাতে কত কত নবাব, সুবাদার রায় রাঁয়া, রাজা প্রভৃতি ও লর্ড ক্লাইভ হইতে

৭৯

৭৯
৭৯