পাতা:কলিকাতা কল্পলতা - রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 সপ্তম অধ্যায় কিন্তু সম্প্রতি অদ্ভুত মানিতেছি যে, ভারতবর্ষের এবং ইউরােপও আমেরিকার সর্বপ্রদেশ হইতে প্রশংসালিপিআসিতেছে।” ঠাকুর বংশ এইবংশের আদিপুরুষ জগন্নাথ ঠাকুর যশােহর জিলার অন্তঃপাতী... ইশবপুর নিবাসী সুধারাম নামকজনৈক পণ্ডিত ব্রাহ্মণ ভূম্যধিকারীর তনয়ার পাণিপীড়ন করাতে কুল কলুষিত করিয়া “পিরালী” অপবাদপ্রাপ্ত হন। তাঁহার বৃদ্ধ প্রপৌত্র পঞ্চানন ঠাকুর গােবিন্দপুর গ্রামে আসিয়া বাস করেন। অতএব কলিকাতার উন্নতি সময়ে ভিন্নস্থানীয় মনুষ্যেরা যে ঐ গ্রামে আসিয়াই অধিকাংশ বসতি করিতেন, তাহার বিলক্ষণ প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। এক সময়ে গােবিন্দপুরই কলিকাতার প্রধান বাণিজ্যস্থল এবং সর্বাপেক্ষা জনাকীর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল। কালক্রমে ইংরাজদিগের সহিত পঞ্চাননের আলাপ কুশল হইলে তাহারা তৎপুত্র জয়রামকে ২৪ পরগণার রাজস্ব আদায়ক আমীন পদে নিযুক্ত করেন।জয়রাম কোন ভূসম্পত্তিসঞ্চয় করিতে পারেন নাই।ঐ জয়রামের রাধাবল্লভনামক জনৈক বংশধর গােপীমােহন ঠাকুর প্রভৃতির বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে এক দায় উপস্থিত করেন। তৎসংক্রান্ত কাগজপত্রপাঠে জানা গেল যে কলিকাতা আক্রমণকালে জয়রাম কিছু নগদ টাকা ব্যতীত সৰ্বস্বান্ত হইয়াছিলেন। তিনি ঐ টাকা দেবসেবায় অৰ্পণ করিয়া স্বীয় পুত্রদিগকে সেবায়েৎ পদে অভিষিক্ত করিয়া যান। জয়রামের চারি পুত্র। জ্যেষ্ঠও কনিষ্ঠের বংশলােপ পাইয়াছে। মধ্যমপুত্রের নাম নীলমণি-ইনিইদ্বারকানাথ ঠাকুরের পিতামহ। তৃতীয় পুত্রের নাম দর্পনারায়ণ ঠাকুর। ইহার সাত পুত্র যথা—

৮৯
৮৯