পাতা:কলিযুগ (চন্দ্রশেখর সেন).djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিযুগ। } ইহাতেও পাণ্ডশার মন না উঠিল, ঋষি-প্রচারিত-গ্রন্থ নাশিতে লাগিল । দুর্দান্ত স্তারঞ্জীব আদেশিল সবে, চতুৰ্ব্বেদ এ জগতে আর না রহিবে । মার-কাটু-রবে সব দুষ্ট-অনুচর, প্লান্তি-পাতি অন্বেষিল পণ্ডিতের ঘর । খুজিয়া আনিল বেদ যেখানে যা ছিল, নিগমের বংশ বুঝি নিৰ্ববংশ হইল । রাজাজ্ঞাতে কত গ্রন্থ অগ্নিতে পুড়িল, চরিবেদ প্রায় সব লোপ পে’য়ে গেল । அ' ঘোর-দুঃখের কথা কে ক’রে জানাবে ? মহাশোকে আকুল ভারতবাসী সবে । বাদশার হুকুম প্রতিবাদ কেবা করে ? উপায় না পায় কেহ ভাবিয়া অন্তরে । দিল্লীবাসী মহাবোদ্ধা জনৈক ব্রাহ্মণ অভিনব প্রতিকার কৈল উদ্ভাবন । “অল্লোপনিষদ” নামে গ্রন্থ সযতনে ত্বরায় রচিল দ্বিজ অস্তুত-কল্পনে, কৌশলে লিখিল শাস্ত্র অতি-সাবধানে, মহম্মদ-আল্লার নাম বেদমধ্যে ভণে । শুনিয়া আল্লার গান আর্য্যের ভাষাতে, . “হজরৎ” “এলাহি” কথা বৈদিক-সুরেতে ।