পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>• কল্পদ্রুম | র্যাহারা চাকরি করেন, র্তাহারা বলিবেন, আমাদের অবসর কোথায় যে আমরা ব্যায়াম করিব ? এটা অলসের কথা ও অলসের যুক্তি। অন্য অন্য নিত্য কৰ্ত্তব্যের-ব্ল্যায় ব্যায়াম-কাৰ্য্য যদি নিত্য কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম বলিয়া স্থিরীকৃত হয়, আপন হইতেই অবসর হইয়া উঠিবে। ইউরোপীয়েরা কি চাকরি করে না ? তাহদের কি ব্যায়ারে বাধা আছে ? বঙ্গবাসিদিগের সকলেরই ভ্রমণ সুলভ। র্যাহাদিগের সঙ্গতি আছে, তাহারা অশ্বে আরোহণ করুন। নদ নদী সরোবর সন্তরণকালে কাহারই হস্ত রোধ করিয়া বাধা দেয় না। এটী স্ত্রী বালক, বৃদ্ধ, ধনবান, দরিদ্র, সকলেরই সুলভ। কেবল অলস্ট্রে পক্ষে দুর্লভ। অবশ্য-কৰ্ত্তব্য বোধে নিত্য ব্যায়াম চর্চা করা যেমন আবশ্যক তেমনি বর্তমান আহার, বাস ও পরিচ্ছদ পরিধানপ্রণালী পরিবৰ্ত্তন করাও আবশ্যক । বামদেব | তৃতীয় অধ্যায় । ৫ ম পরিচ্ছেদ । সুলোচন বৃদ্ধকে বলিলেন, আমি যখন বিন্ধ্যগিরির গুহা মুখস্থিত সন্ন্যাসীর আশ্রমে নীত হইলাম তখনও আমার অস্ত্রকৃত ক্ষত স্থান হইতে শোণিত নির্গত হইতেছিল, আমি মূচ্ছিত প্রায়, সেনাপতি আমাকে দৃঢ়তররূপে পুনঃ পুনঃ এই কথা বলিলেন, রোগীর যথোচিত ঔষধ দান পথ্যদান ও তত্ত্বাবধান বিষয়ে কোনরূপে যেন যত্নের ক্রটি হয় না । এই বাক্য গুলি তিনি যেন আজ্ঞা বাক্যের ন্যায় প্রয়োগ করিলেন। সন্ন্যাসীও নত মস্তকে র্তাহার সেই আদেশ শিরোধার্য্য করিয়া লইলেন । সেনাপতির সহিত সন্নাসীর যে কি বাধ্য বাধকতা, তাহা আমি বুঝিতে পারিলাম না ; কিন্তু সন্ন্যাসী আমার প্রতি পিতৃবং স্নেহ প্রদর্শন করিয়া দৃঢ়তর রূপে চিকিৎসা আরম্ভ করিলেন এবং আমি তাহাকে পিতঃ বলিয়া সম্বোধন করিলাম। তিনি পৰ্ব্বত মধ্য হইতে কি এক গাছের শিকড় ও পাতা আনিয়া বাটিয়া ক্ষতস্থানে দিলেন, রক্ত বন্ধ হইয়া গেল ; কিন্তু ক্ষত স্থানগুলি স্ফীত হইয়া উঠিল, সৰ্ব্বাঙ্গব্যাপিনী বেদন আমাকে অভিভূত করিল, আমি ঘোরতর জরে আক্রান্ত হইয়া অচৈতন্য*হইলাম। পাচ দিব। রাত্রি কোথা দিয়া গেল, কিছুই জানিতে পারিলাম না, মধ্যে মধ্যে কেবল স্বপ্নের ন্যায় এই বোধ হইত, সন্ন্যাসী আমাকে দুগ্ধ পান করাইতেছেন, একটা স্ত্রীলোক আমার