পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামদৈব । X > গায়ে হাত বুলাইতেছে এবং চরণ সেবা করিতেছে। স্ত্রীলোকটকে আমি চিনি চিনি বোধ হইত ; কিন্তু চিনিতে পারিতাম না । এইরূপে পঁাচ দিন অতীত হইয়া গেল, তাহার পর আশাঁর চৈতন্য হইল। তখন বোধ হইল, আমার শরীর মুস্থ হইয়াছে, তখন শরীরে আর সেই অসহ্য যাতনা ছিল না, জরও প্রায় নিঃশেষু হইয়া আসিয়াছিল। তখন আমার বিলক্ষণ ক্ষুধার উদ্রেক হওঁয়াতে ভোজন করিবার ইচ্ছা জন্মিল ; কিন্তু কি ভোজন করি, কাহাকেই বা খাদ্য দ্রব্য আনিতে বলি, এই প্রকার চিন্তা করিতেছি এমন সময়ে সন্ন্যাসী আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি আমার শয্যা পাশ্বে উপবিষ্ট হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, বৎস! তোমার শরীরের ভাব কি প্রকার ? আমি বিনীতভাবে উত্তর করিলাম, আমার শরীর নীরোগ বলিয়া বোধ হইতেছে। পিতঃ ! আপনার কৃপায় আমি এযাত্র রক্ষা পাইলাম । - সন্ন্যাসী ঐ কথা শুনিয়া যেন কিঞ্চিং বিস্মিত হইলেন এবং ক্ষণকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া গম্ভীর স্বরে কহিলেন, বৎস! মনুষ্য অতি দুৰ্ব্বল হৃদয়, কার্য্য কারণ ভাব বোধে সমর্থ নয়, চিত্ত দৌৰ্ব্বল্য নিবন্ধন একের কৃত কার্য্য অনায়াসে অপরের প্রতি আরোপ করিয়া থাকে । ইহাতে কেবল যে তাহাদিগের কৰ্ত্তব্যের অন্যথাচরণ করা হয় এরূপ নয়, তাহারা মহাপাপগ্ৰস্ত হইয়া থাকে। বৎস! দেখ দেখি তোমার কি মহাভ্রম ! সেই కా বিধানকর্তা অদ্বিতীয়ের কৃপাবলে তোমার প্রাণরক্ষা হইল, কিন্তু তুমি অনায়াসে কহিলে আমার কৃপাই তোমার প্রাণরক্ষার কারণ ? এটি কি অধৰ্ম্ম বাক্য নয় ? জগদীশ্বর যদি তোমার প্রতি কৃপা না করিতেন, তাহা হইলে তোমাকে আজ কি আমি এ স্থানে দেখিতে পাইতাম ? আজ কি তুমি আমার সহিত কথোপকথনে সমর্থ হইতে ? সকলই তাহার কৃপা । যে অদ্ভুত ঔষধির बैरल ७३ वल्ल निम्नत्व মধ্যে সেই নিদারুণ ক্ষত বিশুষ্ক হইল, সে ওষধির কি আমি স্বষ্টি করিয়াছি ? ঐ দ্রব্যের যে ঐ প্রকার বিচিত্র শক্তি ও মহৎগুণ আছে, তাহা যে আমি জানিতে পারিয়াছি, তাহাও ঈশ্বরের রূপায় তোমার এই আরোগ্যলাভ সম্বন্ধে আমার কৃপার কোন সম্বন্ধ নাই। আমি কর্তব্যকৰ্ম্মই করিয়াছি। ঐ দ্রব্যের ত্রণবিরোপণ করিবার যে শক্তি আছে, তাহা আমি জানিয়াও যদি তোমার শরীরে তাহার প্রয়োগে বিমুখ,হইতাম, আর তুমি আমার সমক্ষে বিপদ্যমান হইতে, তাছা হইলে আমি মহাপাপী হইতাম, ঈশ্বরের