পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8२ ' কল্পদ্রুম। ভাগ্যে অজ্ঞ হইলেন ! আমাকে কি আপনি জানেন না, না চিনেন না ? এই পাপিষ্ঠের নামই শোণ । লোকে বলে—জগতে সুখ দুঃখ চিরদিন থাকে। না, মুখ অস্তে দুঃখ এবং দুঃখ অস্তে মুখের উদয় হয় । কিন্তু আমি দেখ চি দুৰ্ভগ। শোণের ভাগে বিধাতা চিরকু:খই লিখিয়াছেন। না হবে কেন ? এ হতভাগ্যের জন্ম চিরদুঃখী বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের নয়ন জলে । বাবা নিজ গুরু অগস্তের আগমনে যেমন ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করেন, আমি অগস্ত্য কহেন—বিন্ধ্য! আমার প্রত্যাগমন না হওয়া পৰ্য্যন্ত ঐ ভাবেই থাক, আর মাথা তুলো না বলে সেই যে গেলেন আর এলেন না। বাবা আমার ঘাড় হেট করে থেকে শেষে কাদতে লাগলেন, তার সেই নয়ন জলেই এ অধমের জন্ম হল । পিতা চিরন্থঃখী ছিলেন বটে কিন্তু তিনিও এক সময়ে মাথা তুলেছিলেন। তাহার মাথা তোলাতেই দেবগণ ভীত হয়ে এ দুর্দশা ঘটান। কিন্তু দেব ! আমার অপরাধ কি ? আনি ত কখন মাথা তুলি নাই, আমি ত কখন তৃষ্ণাতুরকে জল দিতে কৃপণতা প্রকাশ করি নাই, তবে আমার এ দশা ঘটে কেন ? আপনার চিরশত্রু জরাসন্ধ আমার তীরে রাজধানী করেছিল বলিয়াই কি এ দশ ঘটিয়াছে ? সেই পাপেই কি ছত্রিশ জেতে টুেণে উঠে জামার বুকের উপর দিয়া যাতায়াত করিতেছে ? আপনি জিজ্ঞাসা করিলেন “ তোমার শরীরে রক্ত কেন ? " শরীরের আর অপরাধ ! অষ্টপ্রহর রেলের চাকায় শরীর ক্ষতবিক্ষত হইলে শরীরে আর কি রক্ত থাকে ? আপনি স্ব ইচ্ছায় বলির দ্বারে রুদ্ধ হন, আমি অনিচ্ছায় ইংরাজ দ্বারে কি কারণে রুদ্ধ হই ? বিধাতা ভারতভাগ্যে চিরদুঃখ লিখেচেন লিখুন, সে চিরদিন পরাধীন থাকে থাক, আমরা ভারতের নদী নালা, আমরা কেন কষ্ট পাই ? আমরা কেন পরাধীনত শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে রাত দিন কে দে মরি ? ভারতের নদটী পৰ্য্যস্ত কি স্বাধীনতা সুখে বঞ্চিত থাকিবে ? দেব ! ইংরাজের আমার কি দুর্দশ করেচে দেখুন, তাহারা আমাকে বন্ধন করে, আমার শরীর ক্ষতবিক্ষত করেও ক্ষান্ত নহে, আবার কৌতুক-কারণ পোলটা পৰ্য্যস্ত রক্ত-বর্ণের করিয়াছে । আমার ভাগ্যে বিধাতা কতক দেব ও কতক মনুষ্যভাব সংগঠন করে বাদ সাধিয়াছেন। তিনি যদি আমাকে সমস্ত দেবভাব দিতেন এত কষ্ট ग२] कब्रेिठ/म न1,3 याङ्ग बनि जभरष्टहे भन्नुबाडाद ८िठन ७उनि भृङ्का হইত, সকল দুঃখ এড়াইতাম । আপনি তাহার দেখা পেলে বলবেন সোণ ৰ্তা: ঐচরণে এমন কি অপরাধ করেচে যে, তার অষ্টে এত দুঃখ!!