পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>९२ কল্পদ্রুম | ক্লেশ সহ্য করে মনের উৎকণ্ঠায় কালাতিপাত করেছ। আমার ক্ষুধা হলে ভোমন পাত্র ফেলে ছুটে এসে স্তন দিয়াছ। এ হতভাগ্যের জন্য নিজ ভ্রাতা কংসকর্তৃক কারারুদ্ধ হয়ে বক্ষে বৃহৎ শিলা বহন করেছ। এ হতভাগ্য লক্ষ্মণ ও সীতা সহ বন গমন করিলে অনশম ব্ৰত সার করে দিন রাত্র কেঁদে কেঁদে চক্ষু হারায়েছ। মা ! আমি গোকুলে মুচ্ছ গেলে আত্মবিসর্জন দিতেও প্রস্তুত হয়েছিলে। তোমাদের গুণ অসীম, তোমাদের স্নেহের অন্ত নাই! তোমাদের ঋণ পুত্র হয়ে পরিশোধ করিবার উপায় নাই। আজ মাগো আখি গম্বাধামে এসে তোমাদের উদ্দেশে পিণ্ড দিতেছি। দুর্ভাগীর দত্ত গ্রহণ কর । তৎপরে তিনি প্রণয়িনীগণের পিণ্ডাপণ করে হস্ত প্রক্ষালন করিবার উদ্যোগ করিতেছেন দেখিয়া বরুণ কহিলেন “ ভাই। আর কিছু পি গু তোমাকে বাজে খরচ করতে হবে । ” নারা । কাহাদের জন্য বল ? বরুণ। ব্রাহ্মজ্ঞানী, খ্ৰীষ্টান এবং বিলাত যাওয়ার দলের জন্য । ইহার সকলেই হিদুর ছেলে। আমাদের মামুক বা না মামুক তুমি হিছর দেবতা, এজন্য তোমার দয়া করা কর্তব্য । আহা ! ব্রাহ্মজ্ঞানীর দল যখন মন্দিরে বসে ঈশ্বরের রূপ ঠিক করতে না পারে কেঁদে মরে, দেখে আমার বড় দুঃখ হয়। খ্ৰীষ্টানের আলোয় যাবেন ভেবে স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করে যখন অন্ধকারে পথ হাতড়াতে থাকে, দেখে আমার আন্তরিক কষ্ট হয় । বিলাত যাবার দল বিলাত যাইবার পথে কিম্বা প্রত্যাগমন করে চুনোগলিতে যখন অকা পায়, তাহাদের দুরবস্থা দেখে আমার চক্ষে জল আসে। নারায়ণ এই কথা শ্রবণে উচ্ছিষ্ট পিণ্ডগুলি সংগ্ৰহ করিয়া নয়টা মালসা পরিপূর্ণ করিলেন এবং প্রথমতঃ তিনটে উপযুপরি সাজাইয়া ব্রাহ্মগুণ । উদেশে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “ হে ব্রাহ্মগণ! তোমরা সাকার, মিরকার যে আকারের ঈশ্বর ভাব, আমি তোমাদের গতির জন্য ভূত, উরিধি ও বর্তমান তিন কালের তিন মালস পিও গচ্ছিত রাখিলাম, সকলে ভ্রাতৃ ভাবে ভাগযোগ করে খেও, দেখ যেন পিণ্ডি খেতেও দলাদলি মারামারি টেচার্চেচি না হয়। হে খ্ৰীষ্টানগণ! তোমাদের জন্যও তিন মালসা জমা রাখি, এর যোরে আলোর মুখ দেখে প্রেতযোনি অর্থাৎ যে যোনিতে তোমরা ভ্রমণ করচো মুক্ত হবে। হে! বিলাত যাওয়া বাঙ্গালী সাহেবগণ ! তোমরা বেস জেনে ইংরাজ স্বর্গে তোমদের স্থান হইবে না। কালা বাঙ্গা