পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বল্লালসেন সম্বন্ধে একটা ভ্রমের প্রতিবাদ । ১৫৩ লীর যেরূপ আদর, তোমরা ইংরাজ নরকেও স্থান পাও কি না সন্দেহ । আমি তোমাদের সদগতির জন্য তিন মালস পিগু রাখিলাম। তোমরা ভাগাড়েই মর, আর দাতব্যচিকিৎসালয়েই মর, এর জোরে বাঙ্গালী স্বর্গ পাবে। ” বলিয়া হস্ত প্রক্ষালন পূর্বক দক্ষিণমুখ হয়ে দাড়াইয়া এই মন্ত্রোচারণ করিলেনঃ– এস পিণ্ডো ময় দত্তস্তব হস্তে জনাৰ্দ্দন । অন্তকালে গতে সহ্যং ত্বয়া দেয়ে। গয়াশিরে ॥ বল্লালসেন সম্বন্ধে একটা ভ্রমের প্রতিবাদ । মনুষ্যেরা রুচির দাস । কি ঈশ্বরোপাসনা, কি লেখাপড়া, কি ধনোপা জর্জন, কি গমন, কি ভোজন ইত্যাদি সকল কাৰ্য্যই ত{হাদের আপন আপন রুচি অনুসারে হইয়া থাকে। এক রচিই মন্থয্যের অন্তরে ভিন্ন ভিন্ন মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়। এক ঈশ্বরকে শতভাগে বিভক্ত করিয়াছে । রুচিই যিশুর অন্তরে থাকিয়া খ্ৰীষ্টান দিগকে বলিল, তোমরা আর যাহা ইচ্ছা তাহাই কর কিন্তু প্রাণাস্তে ও স্বজাতিকে হিংসা করি ও না ; ঐ রুচি মহম্মদের সঙ্গিনী হইয়া মুসলমানদিগকে বলিল, তোমরা প্রতিদিন গোহত্য না করিয়া জল গ্রহণ করি ও না এবং হিন্দুদিগকে বলিল, হিন্দুগণ তোমরা আর নিরাকার ব্রমের আরপিনা করি ও না । অতঃপর যন্ত শীঘ্র পর ব্রহ্মকে কাটিয়া শত থ গু ও আকার বিশিষ্ট কর, নতুব। তোমাদের কোন মতেই মঙ্গল হইবে না। রুচিই রাজা রামমোহন রায়কে বলল, তুমি নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা কর, কপিলকে বলিল, তুমি নিৰ্ব্বাণ মুক্তির জন্য চেষ্টত হও, এবং শাকুসিংহের অস্তুরে বসিয়া কহিল, তুমি প্রণাস্তে ও জীব হিংসা করিও না । অতএব এক বরী সেনকে যে কেহ বৈদ্য, কেহ ক্ষত্রিয়, কেহ বা কায়স্থ ইত্যাদি যার যা ইষ্টাবলিতেছেন, তাহাতে আমরা বিস্ময়াধিত হই না, কারণ এ সমস্তই তাহীদের ভিন্ন ভিন্ন রুচির কার্য । পুৰ্ব্বকালে আমাদের দেশে প্রকৃত ইতিহাস লিখিবার রীতি এবং প্রকৃত ইতিহাস ছিল কি না তাহ লইয়া বিবাদ করা আমাদের এ প্রতিবাদের উদ্দেশ্য নহে। ইতিহাস বলিয়া আমাদের কোন গ্রন্থ থাকুক বা না থাকুক, পুরাণাদি শাস্ত্র দ্বারাই যে আমাদের দেশের (অতি প্রাচীন সময় হইতে মুসলমান রাজত্বের প্রারম্ভ পৰ্য্যন্ত ) স্কুল স্থল ঘটনা গুলি বিলক্ষণরূপ জানিতে