পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ግo কল্পদ্রতম । করিতে পারিয়াছিলেন, তাহা করিয়াছিলেন এবং তৎকালে নষ্টাবশিষ্ট ইতিহাস দুই একখানি থাকিলেও তাহার দিকে যে র্তাহারা ফিরিয়া চাহিয়াছিলেন এমনও বিশ্বাস হয় না ; যেমন এক ব্যক্তির গৃহে অগ্নি লাগিলে সে অগ্ৰেই তাহার যত্নের সামগ্রী রক্ষা করিয়া তাহার পর অন্যান্য দ্রব্যের যা কিছু পায় তাহা ও রক্ষা করে, এবং যে দ্রব্য তাহর অযত্নের, তাহ যেমন নিৰ্ব্বিবাদে ভস্মীভূত হইয়া যায়, ভারতেও ঠিক তাই হইয়াছিল ; ভারতগুহে যখন যবনাগ্নি প্রজ্বলি ত হইয়া উঠিয়াছিল, তৎকালে ভারতসন্তানেরা র্তাহাদের যত্নের বেদ স্মৃতি ও পুরাণ প্রভৃতি রক্ষা করিয়া তৎপরে দর্শন বিজ্ঞানাদির কতক রক্ষা ও তাহাদের কর্তৃক নষ্টাবশিষ্ট ইতিহাসের প্রতি যে সম্পূর্ণ অকৃপা প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহাতেই আমরা বেদাদির কৰ্ম্ম কাণ্ড ও স্মৃতি পুরাণ প্রভৃতির অক্ষত কলেবর এবং দর্শন বিজ্ঞানের ক্ষত শরীর আর ইতিহাসের এককালীন অভাব দেখিতে পাই । অপর, পুরাণাদি শাস্ত্র দেখিয়। যাহারা বলেন, জাৰ্য্যের প্রকৃত ইতিহাস লিখিতে জানিতেন না, তাহার। পুরাণের যে সমস্ত লক্ষণ তাহা না জানাতেই ঐরূপ বাগাড়ম্বর করিয়া থাকেন। অমরকোষে উক্ত হইয়াছে, “ আখ্যারিকোপলদ্ধার্থ পুরাণং পঞ্চলক্ষণং । * আখ্যায়িকাকে উপকথা ও পাচ প্রকার লক্ষণ বিশিষ্টকে পুরাণ কহে । টীকাকার ঐ পঞ্চলক্ষণ কি কি তাহাও স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন ।

    • সৰ্গশ্চ প্রতিসর্গশ্চ বংশোমন্বস্তরাণি চ । ভূম্যাদেশ সংস্থানং পুরাণং পঞ্চলক্ষণং ॥ " সর্গ, প্রতিসর্গ, বংশ, মান্তরাদি এবং ভূম্যাদির সংস্থান এই পাচ লক্ষণ বিশিষ্টকে পুরাণ কহে । পুরাণে এই পাচ বিষয়ই বর্ণিত হইয়াছে। উক্ত টীকাকার ব্যাসাদি প্রণীত পুরাণের ফুট লক্ষণ করিয়াছেন ।

“ দ্বে পুৰ্ব্ববৃত্তপ্রতিপাদকস্য ব্যাসাদিপ্রণীতগ্রন্থস্য । একঃ কল্পনায়া দ্বিতীয়োদুৰ্ব্বোধিতসা প্রশ্নস্য ৷ ” পূৰ্ব্ববৃত্ত প্রতিপদক ব্যাসাদি প্রণীত পুরাণের ফুট লক্ষণ। এক কল্পনার, দ্বিতীয় কূট প্রশ্নের। 蟾 এতদ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ হইতেছে, ইতিহাসের বিষয় ভিন্ন ও পুরাণের বিষয় ভিন্ন। প্রাচীন আর্য্যের পুরাণ লিখিয়াই ইতিহাস লেখার কার্য্য শেষ হইল এই মনে করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়াছিলেন, এ কথা যাহারা বলেন, তাহার নিতান্ত ভ্রান্ত । ক্রমশঃ শ্ৰী গোপীচন্দ্র সেন গুপ্ত—ব্রহ্মকোল ।