পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্ণধার অর্ণধার। వీసా ) স্বলি ত হইবে ? এই জনাই আমার লিপ্ত পদ । আমার ওষ্ঠের গুণগ্রাহিণী শক্তি কোথায় অবিদিত আছে ? আমি ছিদ্রের অন্বেষী নহি, যথার্থ গুণগ্রাহী। জল মিশ্রিত পয়ঃ হইতে চঞ্চুপুটে দুগ্ধই সংগ্ৰহ করিয়া থাকি । আমার ছটা পক্ষ । সম ভাবে দুই পক্ষ অবলম্বন করিয়া কাৰ্য্য করি। আমার । নিকট পক্ষপাত দোষ নাই । জলে স্থলে অন্তরীক্ষে আমার সমান গতি, কোন স্থান আমার অগম্য নাই। এমন সৰ্ব্বগুণ সম্পন্ন অসাধারণ সংপাত্র আর কোথায় আছে ? স্বয়ং ব্রহ্মা আমার গুণে মোহিত হইয় তাহার প্রিয় বাহনপদে আমাকে বরণ করিয়াছেন । পুণ্যশ্লোক নলরাজার আমি পরম মিত্র । আমার সঙ্গে সখ্য সংবদ্ধ করিয়া তিনি নারীরত্ব দময়ন্তীকে লাভ করিয়াছিলেন । সত্য ত্রে তা দ্বাপর কলিতে আনার নাম জাজ্বল্যমান রহিয়াছে। আমি চিন্তাশীল, কার্য্যদক্ষ প্রতিভা সম্পন্ন এবং রাজনীতি-বিশারদ। পৃথিবীতে য়ে সকল বিশৃঙ্খলা ঘটিয়াছে সমস্ত রাজার বিদিত করিব। আপনার এখানে কোন বিলয় গোপন রাখিবেন না । পত্র পাইবা মাত্র রাজ সমীপে সমস্ত গোচর করিয়া তা হার প্রতিবিধান চেষ্টা করবেন । আর বিলম্ব করিবার প্রয়োজন নাই । চক্রবাককে সমভিব্যাহারে লইয়। তবে পৃথিবীতে যাত্রা করি। " এই বলিয়া হংস বির ত হইলেন । পক্ষিগণ ওষ্ঠে ওষ্ঠে খট খট করিয়া হংসের মত অনুমোদন করিলেন । সভা ভঙ্গ হইল । mo স্ত্রীরঙ্গলাল মুখোপাধ্যায়। অর্ণধার অর্ণধার । খাইয়া পরিয়া পৃথিবী মাঝারে, হাসিয়া নাচিয়া করিয়া খেলা, গণথিতে গাঁথিতে আশা-ফুল-হারে, ফুরায়ে যেতেছে জীবন-বেলা । সাগরের তীরে থাকি নিশি দিন, গণিয়া অনন্ত বালুকা-কণা ;– প্রতিদিন দেহ হইতেছে ক্ষীণ, তথাপি বাঙ্গালি অনন্য-মনা ! নিশিতে বসিয়া অবনী উপরে, গণিয়া গগনে অনন্ত তারা, ভাসিতেছি আমি মুখের সাগরে, হইয়া প্রকৃত হরব-হারা !