পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ কল্পদ্রুম | যে ভবনে অন্য দিনে করিলে প্রবেশ । সুখের উদয়ে দুঃখ যেত দূরদেশ ॥ মুখচোখনাসিকদি ইন্দ্রিয়ের গণ । বোধ হতো, হতো যেন অমৃতে মগন ॥ এমনি শীতল ভাব হতো কলেবরে । হতে জ্ঞান পশিয়াছি হিমসরোবরে ৷ আজ সে ঘরের নাই সে শীতল গুণ । পরলে পরলে তার ছুটছে আগুন ॥ সেই মনোহর সেই গৃহ নিরুপম । হয়েছে কপাল-দোষে অগ্নিকুণ্ডসম । একে একে আজ আমি জানিলাম সধ। বিপন্ন জনের বন্ধু পরম দুর্লভ ॥ ; পোড়া কপালীরে বিধি হয়েছে ধিমুখ । তাই কারো হতে আর নাহি হয় মুখ ॥ তাপিত দুঃখিত দীন দুরবল জনে। কে বল কোথায় হেরে করুণ নয়নে ॥ যে যাতনা পেতেছি মা ! বর্ণিবারে নয় ক্ষণে ক্ষণে হইতেছে জীবন সংশয় ॥ কি দিব উপমা তার দেখিতে না পাই । স্বরূপ উপমা বুঝি পৃথিবীতে নাই ॥ এককালে শত শত বৃশ্চিকে দংশিলে । যে জাল তাহাতে তবু উপমা না মিলে। জ্বলিছে দেহের মাঝে প্রদীপের শীষ । কে যেন ঢালিয়া দেছে আশীবিষ বিষ ॥ সে বিষ শোণিতযোগে শিরায় শিরায় । ধাইছে নক্ষত্ৰবেগে বুঝি প্রাণ যায় ॥ ব্যাকুল অন্তর আত্মা স্থির নহে মন । প্রাণের ভিতরে মাগো করিছে কেমন ॥ শুকায়েছে ওষ্ঠ তালু ঘোর পিপাসায় । বদনে ন সরে বাণী বুক ফেটে যায় ॥ ।