পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 8 কল্পদ্রুম। বালিকার যতদিন না নিজ নিজ দেহ ও মনকে সংসার ঝটিকা বহনে সক্ষম করিতে পারে,যত দিন তাহারা পতিসেবা ও পতিমৰ্যাদা না জানে,যত দিন তাহারা ধৰ্ম্মশাসন অজ্ঞাত থাকে, তত দিন পিতা তাঙ্গাদের বিবাহ দিবেন না। এইরূপ নিয়ম সুদূরদর্শী ঋষিরা করিয়া গিয়াছেন। যথা— “ অজ্ঞাতপতিমৰ্য্যাদামজ্ঞাতপতিসেবনাম । নোস্বাহযেং পিত। বালামজ্ঞাতধৰ্ম্মশাসনাং ॥ " এই অনুশাসন শিরোধাৰ্য্য করিয়া পর পর আর্য্যগণ প্রমদাগণকে কতদিন পৰ্য্যস্ত বালিকা, কতদিন পর্যন্ত যুবতী, কতদিন পর্য্যন্ত প্রৌঢ়া ও কতদিন পরে বৃদ্ধা নাম দেওয়া যাইতে পারে, নিম্ন শ্লোক দ্বারা তাহার সুন্দর সিদ্ধাস্ত করিয়া গিয়াছেন । - আষোড়শং ভবেদ্বালা তরুণী ত্রিংশত মতা । পঞ্চপঞ্চাশতং যাবৎ প্রৌঢ় বৃদ্ধ ততঃ পরং ৷ ” অর্থাৎ । ষোড়শ বর্ষ পর্য্যন্ত মহিলাদিগকে বালিকা,ত্রিংশৎ বৎসর পর্য্যস্ত যুবতী,পঞ্চান্নবৎসর পর্য্যন্ত প্রৌঢ়া এবং তদুদ্ধে বৃদ্ধ ৰল। যাইতে পারে। কিন্তু আজকালকার শৈশব-বিবাহ, ও বাল্য-বিবাহ দোষে আমাদের fইন্দুসীমস্তিনীগণ ১০ । ১২ বর্ষে পড়িতে না পড়িতে ৰালিকার বাধ ভাঙ্গিয়া পিচ্ছল যৌবন-পথে দাড়াইয়া যুবতী বিলাসিনী হইয়া হাসিতে থাকেন, এবং ২• । ২৫ বৎসরের মধ্যে ৪ । ৫ ছেলের মা হইয়া প্রৌঢ়াগিনীরূপ ধারণ করিয়া স্বামী তাড়াইতে আরম্ভ করেন (অর্থাৎ এই সময়ে কোন কোন দোষাশ্রিত স্বামী সেকালের পাঠশালার গুরুমহাশয়ের মত একেলে উদ্ধত স্বভাবা প্রৌঢ়৷ গিন্নাদিগকে দেখিয়া প্রায়ই থতমত খাইয়া থাকেন ) ক্রমশঃ ৩০ । ৪০ বৎসর ৰয়স হইতে না হইতে আমাদের মহিলাগণ প্রায়শই শোকতাপে জরাজীর্ণ হইয় গৃহস্থাশ্রম সুখে জলাঞ্জলি দিয়া থাকেন। যাহারা “ অষ্টমবর্ষে • অভাগিনী দুহিতাদিগকে গলা ধাক্কা দিয়া “ গৌরী দানের - ফল পাইবার লোতে “ পরগোত্রস্থ * করিতে ভাল বাসেন, র্তাহারা অনুগ্রহ পূর্বক একবাৰ যেন প্রাগুক্ত শাস্ত্রীয় অনুশাসন গুলির প্রতি কটাক্ষপাত করেন, তাহা হইলে তঁহাদের কল্যাণ হইবে, র্তাহাদের ছেলে মেয়ে দীর্ঘায়ু হুইবে । র্তাহাদের বংশে দত্ত শাপ বিমোচিত হইবে। তাহ হইলে র্তাহাদের ঘরের অলক্ষ্মী নিশ্চয় দূর হইয়া হিন্দুসমাজকে বলীয়ান করিয়া তুলিবে। - . 町