পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগ-তত্ত্ব । R(tని সন্তান ভূমিষ্ঠ হইলে শ্বাসক্রিয়া আরম্ভ হয়। কিন্তু অনেকে দেখিয়৷ থাকিবেন, প্রসবের পর কোন কোন শিশুর কিছুমাত্র শ্বাস প্রশ্বাসের লক্ষণ দৃষ্ট হয় না। সে স্থলে গালে চড় মারিয়া বক্ষস্থলে পৰ্য্যায়ক্রমে ঈষৎ উষ্ণ ও শীতল জল ঢালিয়া শ্বাসক্রিয়া সম্পাদন করিতে হয় । নবপ্রস্থত সন্তান সৰ্ব্বদাই ট্য। ৮ fা করিয়া কাদিতে থাকে । তাহা বিশেষ হিতকর । ঐরূপ চিৎকার দ্বারা ফুস ফস সছিদ্র হয় ; সুতরাং তন্মধ্যে বায়ু প্রবেশ সুগম হইতে থাকে। সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্রাম এবং স্বল্পাহার জন্য যোগীর শরীরমধ্যে অধিক দূষিত দ্রব্য উদ্ভূত হয় না। এজন্য যকৃতের দ্বারা রক্ত শোধনক্রিয়া নিম্পন্ন হইয়া থাকে। ঐ যন্ত্রের দ্বারা যে পরিমাণে কাৰ্য্য সাধিত হয়, বোধ করি যোগীর পক্ষে তাহাই যথেষ্ট । তবে দৈহিক বিকৃত পদার্থ যদি কিছু অতিরিক্ত হইয়া পড়ে, তাহ দেহমধ্যেই থাকিয়া যায় এবং তন্মুলক যোগীর চৈতন্য থাকে না। দূষিত পদার্থ দেহ হইতে নির্গত না হইলে যে কিরূপ বিষক্রিয়া করে, তাছা পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে। ঐ সকল বিষময় দ্রব্য শরীর মধ্যে সঞ্চিত না হইলে স্পন্দবিহীন সমাহিত যোগী কখনই এত অজ্ঞান হইয়া থাকিতে পারিতেন না। কিন্তু ঐ দূষিত দ্রব্যের পরিমাণ বড় অধিক নয়। অধিক হইলে জীবন রক্ষার সম্ভাবনা নাই । সমাহিত সাধকের যে প্রকার অবস্থা হয়, তাহা মৃত্যুতুল্য ভিন্ন আর কিছুই নহে। রণজিৎ সিংহের রাজত্বকালে যে সমাহিত সাধক চল্লিশ দিন সিন্দুকমধ্যে বদ্ধ ছিলেন, তাহার কথা পূৰ্ব্বে উল্লেখ করা হইয়াছে। সমাধিকালে যোগী কিরূপ অব স্থায় থাকেন, তবৃত্তান্ত পাঠ করিলে তাহা উত্তমরূপ জানিতে পারিবেন। কুমার নবনিহান সিংহের বিবাহের সময় দক্ষিণাত্য হইতে এক জন যোগী লাহোরে আইসেন। র্তাহার সঙ্গে অনেকগুলি শিষ্যও ছিল । লাহোরে আসিয়া দিন কতক বিলক্ষণ ধুমধাম বাধাইলেন, অলৌকিক অদ্ভূত কাজ সকল দেখাইতে লাগিলেন । ধৰ্ম্মভীর অজ্ঞ লোক পালে পালে আসিয়া কেহ সন্তান কামনা করিত, কেহ অর্থ প্রার্থনা করিত, আজ এ পূজা, কাল সে যাগ ; এই প্রকার আড়ম্বরের আর সীমা নাই। শিষ্যগণও যেখানে সেখানে গুরুর দৈবশক্তি ঘোষণা করিয়া বেড়াইত। কেহ বলিত,—“আমাদের গুরুদেব অমর।” কেহ বলিত,—“ইচ্ছা করিলে গুরুদেব নিমিষ মধ্যে স্বৰ্গ, মর্ত্য, পাতাল ভ্রমণ করিতে পারেন। কেহ বলিত,—গুরুকে মাটির