পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭ ૦ কল্পদ্রুম | মধ্যে পুতিয়া রাখিলেও তাহার প্রাণ বিয়োগ হয় না।” এইরূপে লাহোর নগরে মহা হুলস্থল পড়িয়া গেল। মহারাজ রণজিৎ সিংহ সাধুর দৈবশক্তির কোন পরিচয় স্বচক্ষে দেখিবার জন্য উৎসুক হইলেন। সাধু বলিলেন,— “ মহারাজ ! আমি সমাহিত হইয়া চল্লিশ দিন রুদ্ধ থাকিতেছি, আপনি দেখুন। ” এই বলিয়া তাহার শিষ্যদিগকে ইঙ্গিত করিলেন। শিষ্যগণ মোম ও তুলা দিয়া সাধুর মুখ, নাক, কাণ এবং চক্ষু বন্ধ করিল। পরে রক্তবর্ণ বস্ত্রের থলের ভিতর রাখিয়া তাহার মুখ সেলাই করিয়া দিল । রাজকৰ্ম্মচারিগণ তদবস্থার যোগীকে একটা কাঠের সিন্ধুক মধ্যে পূরিয়া তাল৷ লাগাইল । কিন্তু তাহাতেও বিশ্বাস নাই ; কি জানি কখন কি কৌশলে পাছে বাহির হয়, তজ্জন্য একটা উদ্যানের বারদ্বারি ঘরে রাখিয়া তাহার দ্বার পাকা করিয়া গাথিয়া দেওয়া হইল। ছাদের উপর এবং ঘরের চতুঃপাশ্বে পাহারা রহিল। চল্লিশ দিন পরে সাধুকে সিন্ধুক হইতে বাহির করা হয়। তৎকালে পলিটিক্যাল এজেণ্ট কর্ণেল ওয়েড, ডাক্তার মরে, ডাক্তার মাক গ্রেগর এবং অন্যান্য অনেক ইংরাজ কৰ্ম্মচারী সেস্থলে উপস্থিত ছিলেন । যখন সাধুকে বাহির করা হইল, ডাক্তার সাহেব তাহার দেহ উত্তমরূপ পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন, কিন্তু জীবনসত্ত্বের কোন লক্ষণ বুঝিতে পারিলেন না । নাড়ী পরীক্ষা করিলেন,—ম্পন্দ রহিত,—শ্বাস নাই ; ফলতঃ স্পষ্ট মৃত দেহই বোধ হইল। শিষ্যগণ নাক, মুখ, কাণ এবং চক্ষু হইতে তুলা ও মোম বাহির করিয়া বাদাম তৈলে ব্ৰহ্মতালু মৰ্দ্দন করিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে যোগী চক্ষু মেলিয়া সপের মত সতেজ নিশ্বাস ফেলিতে লাগিলেন। পরে কিঞ্চিং সুস্থ ও সচ্ছনা হইয়া স্বয়ং শীতল জলে স্নান করিলেন । মহারাজ রণজিৎ সিংহ তাহাকে দুই হাজার টাকা মূল্যের একটা থেলাত এবং অন্যান্য অনেক সামগ্ৰী পুরস্কার দিয়াছিলেন । সেখানে যে সকল ইংরাজ কৰ্ম্মচারী উপস্থিত ছিলেন, তাহাদিগকে তিনি বলিলেন যে, “ যদি আপনারা আমাকে সমস্ত কলিকাতা নগর পুরস্কার দেন, তবে আমি সম্বৎসর এই ভাবে থাকিতে পারি। " উপরে যে সাধকটর বিষয় বর্ণিত হইল, তিনি সপাদির হৈমস্তিক নিদ্রার তত্ত্ব বিলক্ষণ বুঝিতেন এবং সেই কৌশল সবিশেষ অভ্যাস করিয়াছিলেন । কিন্তু যোগের প্রকৃত ফল কই ? এখনও ষে ভোগ-পূহ বিলক্ষণ वनवडौ । नश्नाव्र-श५-१ौउब्रां★ निकशूक्ट्सब्र त्रावांग्र शूद्धकाङ्ग ८कन ? यनि