পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামদেব | •. ७०१ কিম্বা শত বৎসর পরেই হউক তাহাকে সংসারী সাজিতেই হইবে ; এটা ঈশ্বরের নিয়ম। যিনি মনুষ্যের ( জীবের ) জন্মদাতা, তারই নিয়ম। এ নিয়ম লঙ্ঘন করিবার শক্তি মকুষ্যের নাই। যদি তাহাই না থাকিল, যদ্যপি সংসারী সাজিতেই হইবে, তবে আর তাহাতে ঔদাস্য অবলম্বন করিয়া ফল কি ? তবে আর সংসারে নৃত্য করিতে লজ্জা কি ? ভিক্ষা করিয়া, পরের মুখ চাহিয়৷ কেবল কাননে বসিয়া জীবন যাপন করা অপেক্ষ ঈশ্বর মনুষ্যকে যে সমস্ত ক্ষমতা প্রদান করিয়াছেন, তাহাই প্রকাশ করা কি মনুষ্যের একান্ত উচিত নয় ? তাহাতে কি ধৰ্ম্ম श्च न। ? তাহাতে কি মন সুখী হয় না ? তাহাতে কি ঈশ্বরের তুষ্টি সাধন করা হয় না ? মনুষ্য যদি তাহার নিজ ক্ষমতা প্রকাশ না করে, তবে ঈশ্বরের মহিমা কিরূপে প্রকাশিত হইবে ? মনুষ্য যদি সংসার ধৰ্ম্ম না করে, তাহা হইলে ঈশ্বরের স্বষ্টি কি প্রকারে রক্ষা হইবে ? ঈশ্বরত্ব প্রকাশ করিবার জন্যই ঈশ্বর মনুষ্য স্বষ্টি করিয়াছেন । সেই মানুষ যদি তাহার নিজ ক্ষমতা প্রকাশ করিয়া- ঈশ্বরের মহত্ত্বের বিস্তার করে, তাহ হইলে তিনি কেন না সন্তুষ্ট হইবেন ? সংসার মিথ্যা নহে, ঔদাস্যই মিথ্যা, ংসার বস্তু, ঔদাস্য কিছুই নয়। সংসার হইতে উৎপত্তি স্থিতি ও বিনাশ হইতেছে, ঔদাস্য হইতে কিছুই হয় না। যাহা অবস্তু তাহা হইতে কি হইবে ? অতএব মনুষ্য সংসার ধৰ্ম্ম করিবে, মনুষ্য হইতে মনুষ্য জন্মগ্রহণ করিবে, ইহাই ঈশ্বরের অভিপ্রেত, সে অভিপ্রেত না হইলে ঈশ্বর এরূপ করিয়া মনুষ্য স্বষ্টি করিতেন না । যাহা ঈশ্বরের অভিপ্রেত, তাহাই মনুষ্যের ধৰ্ম্ম, তাহাই মানুষের কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম, তাহাই প্রকৃত মুখ ; কুসংস্কারের বশবৰ্ত্তী হইয়া সেই সংসারকে অসার করিয়া স্বগণের, স্বদেশের, পৃথিবীর ও ঈশ্বরের অপ্রিয় হওয়া কি মনুষের উচিত ? শ্ৰীগোপীচন্দ্র সেন গুপ্ত কবিরাজ ব্রহ্মকোলা, সিরাজগঞ্জ । বামদেব তৃতীয় অধ্যায়। প্রথম পরিচ্ছেদ । - তুলাদণ্ডে মানুষের স্থখ দুঃখ পরিমাণ করা বিধাতার যেন একটা নিত্য কৰ্ম্ম । তিনি কেন যে অধিগ্নচিত্তে এই গুরুতর ভার বহন করেন, তাহার