পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O3) a কল্পক্রম । স্তরে দেখা যাইবে, কিন্তু র্যাহার যুক্তি ও শাস্ত্রীয় পথ ধরিয়া বিধবাবিবাহ প্রচলন কর্তব্য স্থির করিতে চান, তাহারা অল্পায়াস স্বীকার পূর্বক আমাদের হিন্দুসমাজহিতৈষী অবলাবান্ধব পূজ্যপাদ শ্ৰীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পণ্ডিত প্রবরের প্রণীত এতৎসংক্রান্ত অখণ্ডনীয় শাস্ত্রসিদ্ধান্ত পাঠ করিলে অনেক বুঝিতে পরিবেন। ங் 率 শাস্ত্রকারের বৈধব্যব্রতের ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছেন সত্য, কিন্তু তাহার ইহার যে সকল মাহাত্ম্য দেখাইয়া গিয়াছেন, তাহা কাহার পক্ষে ? তাহ সংযতেন্দ্রিয়া সাধী সতী পতিব্ৰতাদের জন্য । যাহার জিতেন্দ্রিয়া, তাহাদের পক্ষে যতি-ধৰ্ম্মাবলম্বন শোভা পায়। পরন্তু, যাহারা বাস্তবিক ইন্দ্রিয়তাড়নায় জালাতন, যাহাদের ভোগপূহ সৰ্ব্বদাই বলবতী, যাহাদের হৃদয়ে সংসারসুখেচ্ছা জ্বলন্ত ইন্ধনের ন্যায় সদাই দগ্ধ করিতেছে, তাহদের পক্ষে ওসব বিধান খাটে না। যাহাদের স্বভাব ও প্রকৃতি পতিসহবাসলিঙ্গ, তাহাদিগকে সে ভোগ হইতে বঞ্চিত রাখাতেই হিন্দুসমাজে এত পাপপ্রবাহ প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। তুমি যতই কেন ধৰ্ম্মোপদেশ দেও না, য তই কেন কৃচ্ছ সাধনের ভবিষ্যৎ সুখময় ফল দেখাও না, মানব প্রকৃতি এক নিগুঢ় প্রাকৃতিক নিয়মের বশম্বদ হইয়া সংগঠিত হইতেছে, তাহা কেছ দেখিতে না পাক, কিন্তু তাহা অন্যান্য ভৌতিক নিয়মের ন্যায়, অলক্ষিতভাবে অখণ্ডনীয়রূপে মানবসমাজ সংগঠন করিয়া অসিতেছে । সে “ নিয়তি ” এড়াইবার নয়, সেইটীর প্রতি দৃষ্টি রাখিতে না পারিলে সমাজ-নীতির কোন অর্থবোধই হয় না। তাই বলি যে,স্বাভাবিক নিয়ম ধরিয়া চরিত্র সংযত করিয়া ব্রহ্মচারিণী হইবার যিনি ইচ্ছা করেন করুন, তিনি সমগ্র মানব সমাজে পূজিত হইবেন সন্দেহ নাই, কিন্তু যাহার ভাব অন্যবিধ তাহাকে জোর করিয়া জিতেন্দ্রিয় উপাধি দেওয়া কেন ? ( ১ ) সহৃদয় পাঠক মহোদয়গণ! একটু অভিনিবিষ্টচিত্তে প্রথমতঃ হিন্দু বিধবাদের উপর শাস্ত্রীয় অমুশাসনগুলি পাঠ করুন, তৎপরে বলুন দেখি উহ (>) It appears to me, that one reason, why vice & misery, in the world Aloilot deminish in proportion to preaching, is, because the natural laws are too much overlooked, ang very rarely considered as having any relation to practical conduct.

(Combes constitution of man, Page 39.)