পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\968 কল্পদ্রুম। অনেকের মনে সংস্কার আছে, ঐ কোটরে বসিয়া কোন সময়ে কোন মুনি তপস্যা করিতেন । ” এখান হইতে দেবতার বীসায় চলিলেন। যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া নারায়ণ কহিলেন “ বরুণ! সম্মুখে দেখা যাচ্চে ওটা কি ?” বরুণ। ইংরাজদিগের ভজনালয়। উহার নাম চর্চ। *. ইন্দ্র। ওদিকে দেখা যাচ্চে ওটা কি ? বরুণ। উহা ও একটী চর্চ। নারা। কতগুলো চর্চ ? বরুণ । দুইটা। একটা রোমান-ক্যাথলিক অপরটা প্রোটেষ্টাণ্ট অর্থাৎ আমাদের যেমন শাক্ত ও বৈষ্ণব, উহাদেরও তেমনি দুইটা দল আছে। ইন্দ্র । সকল জাতিরই ধৰ্ম্ম নিয়ে দলাদলি ! , ইহার পর সকলে বাসায় গিয়া আহারাদি করেন। যখন তাহারা আহারান্তে খড়ক্টেথাইতেছেন, তখন শ্রমজীবীদিগের স্ত্রীলোকেরা স্বামী ও পুত্রকে আহার করাইকী জন্য গামচায় ভাত বাধিয়া জলের বটা হন্তে রাস্ত দিয়া ছুটোছুটি করিয়া আদিতেছিল । তাঙ্গাদের মস্তকের অৰ্দ্ধেক আন্দাজ সি দূর পেঁপা, সৰ্ব্বাঙ্গে উদ্ধি, সমস্ত হাতে চুড়ী এবং হন্তে, পদযুগলে ও কর্ণে কাসার গহন । সকলে রেলওয়ে ওয়ার্কশপের সন্নিকটে আসিয়াই কেহ কেহ গাছ তলায়,কেহ বা পথের পাশ্বে ভাতের থালা নামাইয় অপেক্ষা করিতে লাগিল। ক্রমে দেখিতে দেখিতে এগারটার ভোমা বাজিল। কুলির চুটিয়া আসিয়া আহারে বসিল। উপো ছুটয় ছুটিয়া খাওয়া দেখিতে যায় এবং কেহ শুদ্ধ লঙ্কা দিয়া ছাতু খাইতেছে, কেহ লবণ দিয়া ভাত খাইতেছে, দেখিয়া হাস্য করে এবং মনে মনে কহে “ বাবা বলেছেন “ যে দিন বাঙ্গালীর চাকরীর অভাবে এই শ্রমজীবীদিগের স্থান সকল দখল করিয়া রাস্তায় বসে ছাতু খাবে, সেই দিন আমাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করবেন । কিন্তু হায়! সে দিনের আর কত বাকী ! ! - এই সময় ভোমা আবার সকলকে ডাকিল। দেবগণ গেটের নিকট আসিয়া দাড়াইলেন। র্তাহারা শুনিতে লাগিলেন, কতকগুলি লোক গল্প করিতে করিতে প্রত্যাগমন করিতেছে। এক জন কহিতেছে “ ভাই ধোনা কলুই আমাদের মাথা খেলে! কোম্পানির দোষ কি ? তাহারা ত জয়গ্ৰহ করিয়া পাশে লিখিয়া দিতেন-পরিবারস্থ এত লোক। আমরা সেই, পাশে