পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুদিগের বহির্বাণিজ্য । ○と○・ কিন্তু অধিবাসিগণ তাদৃশ অধ্যবসায়শীল নহে। পৃথিবীর কত দেশ পতন দশায় পতিত হইয়াও আবার অধ্যবসায়াদিগুণে পুনঃ সৌভাগ্যশালী হইয়া স্বসভাজনপদ মণ্ডলীতে অাদৃত হইয়াছে ; কিন্তু চীন চিরকালই প্রায় সমভাবে আছে। ইহার মস্তক কখন সম্পূর্ণরূপে উত্তোলিত হইয়াছে কি না সন্দেহ স্থল। তবে ঈশ্বর কৃপায় এক্ষণে শুনিতে পাওয়া যাইতেছে, ইহারা নাকি কিয়ৎপরিমাণে উন্নত হইতেছে। সংবাদ শুভ বটে, কিন্তু কাল অহিফেন যে এখনও ইহাদের অদৃষ্ট চক্রের অষ্টমস্থানে শনি হইয়া আছে! মস্তক তুলিবে কিরূপে ? যাহা হউক, অধ্যবসায়শীল না হক্টলেও ইছারা এককালে বাণিজ্যে বিরত নহে। বাণিজ্যই যে সৌভাগোদয়ের মূল কারণ, ইহা তাহার। কিয়ৎপরিমাণে অবগত থাকিয়া বহুকাল হইতে বাণিজ্যের অমুশীলন করিয়া আসিতেছে। ২৯০০ শত বৎসর পূৰ্ব্বে চীনেরাই প্রথম দিগদর্শন যন্ত্রের আবিষ্কার করিয়াছিল। এই আবিষ্করণের দ্বারা সমুদ্র যাত্ৰিগণের মহৎ উপকার সংসাধিত হইয়াছে। অকূল সমুদ্রে দিঙ নিরূপণ করা বড় সহজ বিষয় নহে । দিগভ্রান্ত হইলেই মহা বিপদ । কত লোক এই মহা বিপদে পতিত হইয়া যে অনন্ত বারিধিজলে জীবন বিসর্জন করিয়াছে তাহার সংখ্যা নাই । কিন্তু দিগদর্শনের আবিষক্রিয়া হইলে সে ভয়ানক বিপদপাতের সম্ভাবনা বহুপরিমাণে তিরোহিত হইয়াছে। কেন না দিগদর্শনের একটা শলাকা সৰ্ব্বদ উত্তর মুখে থাকে। তাহাকে যে দিকে ঘুরাইয়। ফিরাইয়া দেও, তাহ তৎক্ষণাৎ উত্তর মুখে আইসে । এ অবস্থায় উত্তর দিক নিরূপিত হইলে যে অন্যান্য দিক ও সহজে নিরূপিত হইয়। অর্ণবপোতকে বিশাল অর্ণব-বক্ষের মধ্য দিয়া নির্ভাবনায় গন্তব্য স্থানে লইয়া যাইতে পারা যায়, তাহাতে সন্দেহ কি । বস্তুতঃ চীনের দিগদর্শনের আবিষ্কার করিয়া জলপথগামী বণিক ও অন্যান্য লোকের যে কি মহান উপকার সংসাধিত করিয়াছে, তাহ বর্ণ নীতীত । আমরা প্রথম প্রস্তাবে সপ্রমাণ করিয়াছি, অতি পূৰ্ব্বকালে এমন কি চারি সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বেও হিন্দু-বণিকগণ বাণিজ্যৰ্থ সমুদ্রপথে সূৰ্ব্বদ। গমনাগমন করিত্তেন। যদি ২৯০০ শত বৎসর পূৰ্ব্বে দিগদর্শন চীনদিগের দ্বারা প্রথম আবিষ্কৃত হইয়া থাকে, তবে তাহার বহুদিবস পূর্বেও হিন্দুবণিক, গণ কোন উপায় অবলম্বন করিয়া সমুদ্র মধ্যে দিক নিরূপণ করিয়া দূরত্র