পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনুসংহিতা | 品 צף9א চটক, প্লব নামে পক্ষী, হংস, চক্ৰবাক, গ্রাম্যকুকুট, সারস, রজুবাল নামক পক্ষী, দাড়কাক, শুক ও শারিক ইহাদিগের মাংস ভক্ষণ করিবে না। গ্রাম্য কুকুটের নিষেধ হেতু বন্য কুকুট ভক্ষণ করিতে পারে। প্রতুদান, জালপাদাংশ্চ কোয়ষ্টিনখবিঙ্কিরান। নিমজ্জতশ্চ মৎস্যাদান,সৌনং বল্ল রমেব চ। ১৩ ॥ যাহারা চঞ্চু দ্বারা ঠুকরিয়া ভক্ষণ করে, আর জালের ন্যায় যাহাদিগের পা, আর যারা নখ দ্বারা বিক্ষেপ করিয়া ভক্ষণ করে, আর যাহারা জলে নিমগ্ন হইয়া মৎস্য ভক্ষণ করে, তাদৃশ পক্ষীদিগের মাংস ভক্ষণ করিবে না, আর কোয়ষ্টি নামে পক্ষীর মাংস খাইবে না । আর মারণস্থানস্থিত মাংস ও শুষ্ক মাংস পরিত্যাগ করিবে । 闾 বকঞ্চৈব বলাকাঞ্চ কাকোলঙ্খঞ্জরীটকং । মৎস্যাদান, বিট্রবরাহাংশ্চ মৎস্যানেব চ সৰ্ব্বশ: ॥ ১৪ ॥ বক, বলাক, দ্রোণ কাক,খঞ্জন আর কুম্ভীরাদি, গ্রাম্য শূকর, আর সর্ব প্রকার মৎস্য পরিত্যাগ করিলে। টীকাকার বলেন বচনে বিট বরাহ শব্দ প্রয়োগ আছে, অতএব গ্রাম্য শূকরের মাংস ভক্ষণ করিবে না, কিন্তু বন্য শূকর মাংস ভক্ষণ করিতে পারে। মৎস্য ভক্ষণের বিশেষরূপে নিন্দ করা হইতেছে । যোযস্য মাংসমন্নাতি স তন্মাংসাদউচ্যতে । মৎস্যাদ: সৰ্ব্বমাংসাদস্তন্মান্মৎস্যান বিবর্জয়েৎ ॥ ১৫ ॥ ষে যাহার মাংস ভোজন করে তাহাকে তন্মাংসভোজী বলা যায় ; যেমন বিড়াল মূষিক-ভোজী, যে ব্যক্তি মৎস্য ভোজী হয় তাহাকে সৰ্ব্ব মাংস ভক্ষক বলা উচিত ; অতএব মৎস্য পরিত্যাগ করিৰে । সামান্যতঃ মৎস্য ভক্ষণ নিষেধ করিয়া কতকগুলি মৎস্য বিশেষের বিধি দেওয়া হইতেছে । পাঠানরোহিতাবাদ্যে নিযুক্তে হবাকব্যয়োঃ । রাজীবান্সিংহতু ৫াংশ্চ সশস্কাংশ্চৈব সৰ্ব্বশ: ॥ ১৬ ॥ পাঠান (বোয়াল ) ও রোহিত মৎস্য এ উভয় মৎস্য দৈব ও পিতৃকার্য্যে প্রদত্ত হয়, অতএব ঐ উভয়ঞ্জাতীয় মৎস্য ভক্ষণ করিবে। তদ্ভিন্ন যে সকল মৎস্যের শক অর্থাৎ মাইস আছে, তাহ এবং রাজীব ও সিংহকুও নামে আর দুই প্রকার মৎস্য ভক্ষণ করা যাইতে পারে।