পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণ, রৌপ্য ও ভারতের আয় ব্যয়। ৪০৯ | আজও তুমি নাগ পৰ্ব্বতে যাও, সিকিমের অবস্থা দেখ—বৈদিক ঋষিদিগকে জিজ্ঞাসা কর—র্তাহারা কি কিছু নুতন দেখিতেছেন? ইহারাই কি সেই ছদ্ধৰ্ব বর্বরজাতি নয় ? ইহারাই না তাহাদের তপস্যার ও যাগযজ্ঞের সর্বদ বিঘ্ন ঘটাইত ?—ঐ সকল পৰ্ব্বতবাসিরাই কি তাহাদের প্রেত, পিশাচ ও রাক্ষস নয় ? পৃথিবীর প্রায় সকল অসভ্য জাতি দিন দিন উন্নতির অভিমুখে ধাবমান হইতেছে। কোন কোন অসভ্য জাতি সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে পশুবিশেষ ছিল, আজ তাহাদের বুদ্ধি-কৌশল যেন বিধাতাকেও ভাবিত করিয়াছে। কিন্তু, কি কারণে এই সকল পাৰ্ব্বতীয় জাতির কোন উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় না ? এই রহস্যের মৰ্ম্মভেদ করা কঠিন নয়। সময় পরিবর্তনের অধিনায়ক। এক দিনে বৃক্ষ হয় না, এক দিনে বৃক্ষ ফলে ন সময় পাইলেই বৃক্ষ ফলে ফুলে সুশোভি ত হয়। কিন্তু সময় আইসে, আর যায়, কাহারও প্রতীক্ষা করে না,—সময়েরই সকলে প্রতীক্ষা করে। কত সময় আসিল, কত সময় অতীত হইল, কই নাগ প্রভৃতি পাৰ্ব্বতীয় জাতিদের কিছুই পরিবর্তন হইল না কেন ? নাগার সময়ের প্রতীক্ষণ করে নাই, তাহারা সময়ের ব্যবহার বুঝে না। তাহদের আবাসস্থান, তাহাদের অবস্থা তাহাদিগকে সময়ের ব্যবহার বুঝিতে দেয় নাই । ংসারের সকল কাজ অন্যোন্য আশ্রয়গত । তোমাকে যদি বলি—“ মাটীর । একটা পুতুল নিৰ্ম্মাণ কর । " দেখ, যতক্ষণ তুমি নিৰ্ম্মাণ না করিতেছ, ততক্ষণ । পুতুল কোথায় ? তোমার নির্মাণকার্য সমাপ্ত না হইলে তুমি পুতুল । দেখাইতে পার না, -নিৰ্ম্মাণের পূৰ্ব্বে পুতুল নাই। এখানে দ্রব্যের অসদ্ভাবে , নামের সদ্ভাব সম্ভব হইতেছে। নাম ভাবী দ্রব্যকে আশ্রয় করিয়া আছে, : ইছাই অন্যোন্য আশ্রয়। এই অন্যোন্য আশ্রয়কে উপেক্ষা করিয়া কোন কথা বুঝাইয়া দিতে পারা যায় না, কোন কাজ করিতেও পারা যায় না। তুমি যত দৃষ্টান্ত বলিবে, সকল স্থানেই দেখিবে, অদ্যতন ব্যাপার ভবিষ্যৎ, অনদ্যতনকে আশ্রয় করিয়া ভাব ব্যক্ত করিতেছে। “ এই দুগ্ধে ক্ষীর প্রস্তুত কর । ” এখানে দুগ্ধ ঘন না করিলে ক্ষীর হয় না, আবার ক্ষীর শব্দ না বলিলেও আমি তোমাকে কি অনুমতি করিতেছি,তাহা তুমি বুঝিতে পারবে না । অতএব সকল কাজেই অন্যোন্যবিধি আবশ্যক । নাগাদের অবস্থাগত উন্নতির পক্ষে এই অন্যোন্য আশ্রয়গত কারণ ( ઉ ૨ )