পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s> . . " কল্পদ্রুম। : - অদ্যাপি ঘটে নাই, সেইজন্য আজও তাহদের অবস্থার কিছুই পরিবর্তন হয় নাই। কত কাল গত হইল তাহারা যে অসভা, সেই অসভ্যই আছে। তাহার। চিরকাল যে পশুবৎ নিষ্ঠুরাচার, এখনও সেইরূপ আছে। যদি উন্নতির অনুকূল অন্যোন্য আশ্রয়গত কারণ ঘটিত, তবে ঐ সকল দৃঢ়কায় । পাৰ্ব্বতীয় মহাশূরদিগকে ভুজবীৰ্য্যে কে আঁটিতে পারিত ? আজ তাহদের প্রতাপে মেদিনী কম্পিত হইয়া উঠিত—আজ তাহার। ভারতের এক প্রাস্ত হইতে অন্য প্রাস্ত পর্য্যন্ত জয়স্তম্ভ নিখাত করিত। তুমি জিজ্ঞাসা করিবে—অবস্থার-উন্নতির অন্যোন্য-আশ্রয়গত কারণ কি ?—অবসর ও প্রচুরতা। ইহাদের একটা আর একটকে আশ্রয় না করিয়া উৎপন্ন হইতে পারে না, পরিবৰ্দ্ধিত হইতে পারে না। কারণ দেখ, কোন ব্যক্তি যদি উদয়াস্ত কেবল উদরের চিন্তাই করিতে থাকে, আজ খাইয়া কাল কি খাইবে তার কোন সম্ভাবন না থাকে, তেমন মানুষের অবসর কোথায় ? সে যতক্ষণ নিদ্রিত থাকে ততক্ষণই তার অবসর । অতএব দ্রব্যসামগ্রীর প্রচুরতা বা সঞ্চয় অবসরের একটা প্রধান কারণ। আবার এপক্ষে দেখ, অবসর না থাকিলে মানুষ নূতন নূতন উপায় উদ্ভাবন করিবার মিমিত্ত স্বস্থির চিত্তে চিন্তা করিতে পায় না ; নূতন নূতন কৌশলের আবিষ্কার হয় না, চিরকাল অবস্থা একভাবে থাকিয়া যায়। আজ মহাসমুদ্র তোমার কাছে গোপদ হইয়াছে—তুমি জাহাজে করিয়া হেলায় তাহা উত্তীর্ণ হইতেছ। এ দেশের সামগ্ৰী তুমি আর এক দেশে লইয়া ফেলিতেছ—এক টাকায় দশ টাকা লাভ করিতেছ। স্বয়ং লক্ষ্মী যেন তোমার ভাণ্ডার আলো করিয়া আছেন। বল দেখি যদি এই জাহাজ ন থাকিত, সাগর পারে কি এই পৰ্ব্বত প্রমাণ দ্রব্য সামগ্ৰী লইয়া যাইতে পারিতে ? তখন বিলাতে এক মুষ্টি চাউল পাঠাইতে হইলে সীতার উদ্ধারের ন্যায় বৃহৎ ব্যাপার পড়িয়া যাইত। কত গাছ পাথরে সিন্ধু বন্ধন করিতে इश्छ। o 唯 এখন বিচার করিয়া দেখ যে কারিকর বসিয়া বসিয়া অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া তোমার জন্য জাহাজ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে,সে কেমন ব্যক্তি ? তাহাকে কি উদয়াস্ত আহার-অন্বেষণে ফিরিতে হইত ? না, কখনই নয়। তাহার অবসর ছিল, তাহাকে ভরণপোষণের জন্য ব্যস্ত থাকিতে হইত না। তুমি যাহ উপার্জন করিলে তাহাতে তোমার নিজের অভাব দুীকৃত হইল ; পঃে