পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R , - কল্পদ্রুম | হইতে পশুর প্রাণবধ করা যায়। সে জন্য ভাবিয়া চিন্তিয়া জাল,দড়ী ও ফঁাদের কৃষ্টি করা হইল। কিন্তু পূৰ্ব্বে আয়োজন করিয়া না রাখিলে এ উপায় কাৰ্য্য কারী হয় না। বিশেষতঃ সিংহ, ব্যাস্ত্র ও হস্তীকে জাল দড়ীতে বদ্ধ করিয়া রাখা দুৰ্ঘট ব্যাপার। আবার যেখানে সেখানে, পৰ্ব্বতে কন্দরে, মাঠে ঘাটে অরণ্যে হিংস্ৰক পশু আক্রমণ করিলে উপায় কি ? পৰ্ব্বতে কাননে যাহাঁদের বাস, বন্য-পণ্ড যাহাদের সহচর, সেখানে ত পদে পদে বিপদের আশঙ্কা । একটা বাঘ আসিয়া সম্মুখে পড়িলে কে রক্ষা করিবে ? অভাবেই ভাবনা, ভাবনাতেই কল্পনা, কল্পনাতেই নুতন স্বষ্টি –তুমি দেখিলে বনে বন্য-পণ্ডর কাছে নিস্তার নাই, কেবল উপায় ভাবিতে লাগিলে। মনে মনে কত কৈৗশলের কল্পনা করিলে, শেষ প্রতিকারের পথ আপনি আসিয়া পড়িল । এইরূপে ধনুৰ্ব্বাণের স্বষ্টি হইয়াছিল । - ** হিমালয়ের অসভ্য জাতিদের একবার যাহা কিছু উন্নতি হইয়া গিয়াছে, যাবৎকাল তাহাই আছে। আর কিছু নূতন উন্নতি দেখা যায় না। তাহার কারণ এই,—সেখানকার লোকসংখ্যা অল্প, বনজাত ফলমূল ও মৃগয়ালুদ্ধ পশুপক্ষীতে গ্রাসাচ্ছদন চলে এবং গিরিগুহায় বাস করা যায়। এই সকল সুবিধা না থাকিলে তাহারা কখনই স্থিরভাবে এক স্থানে বাস করিতে পারিত না। যেখানে খাদ্য সামগ্ৰী স্থলভ, সেই সকল দেশে বিকীর্ণ হইয়। 'ಥ್ರ ! হয় ত কোথাও তুমুল সংগ্রাম করিয়া জনপদকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিত ; লুঠ করিয়া দ্রব্য সামগ্ৰী কাড়িয়া কাহাকেও মুস্থির থাকিতে দিত না । দেখিতে পাওয়া যায়, নাগ প্রভৃতি অসভ্য জাতির মধ্যে মধ্যে ইংরাজ রাজ্যে মহা উপদ্রব করে । কিন্তু তাহাদের সে উপদ্রব, লাভের প্রত্যাশায় নয়। ঈর্ষাবশতঃ ইংরাজদের প্রতি বৈর সাধনই তাহাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। _ উদরের জাল সৰ্ব্বনাশের সামগ্রী। উদরের জালায় ব্রহ্মারও কিছুতে অরুচি নাই—সকলই থাইয়া থাকেন। নাগ প্রভৃতি আসভ্যেরা যদি পাৰ্ব্বতীয় প্রদেশে খাদ্য দ্রব্য না পাইত, তবে দেশ দেশান্তরে গিয়া দুৰ্ব্বলের উপর বল প্রকাশ করিত, এবং প্রবলের হাতে পড়িলে বশ্যতা স্বীকার করিত । কিন্তু তাহাদের অভাবও নাই প্রচুরতাও নাই, তজ্জন্য চিরকাল প্রায় এক ভাবে চলিয়া আসিতেছে। অসভ্য অবস্থা হইতে মনুষ্য যত উন্নতির অভিমুখে অগ্রসর হয়, ততই