পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মর নই। - বলিয়া, কঁাপিতে কঁাপিতে সেই জলখাবার পূর্ণ বাটা হাতে দেবেন কি জামাতার মস্তকে নিক্ষেপ করিয়া চেঁচাইরা উঠিলেন। এই সময় রাধানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় গোরু বাধিতেছিলেন, গৃহিণীর কোন বিপৎপাতের আশঙ্কা করিয়া “মার ” “মার ” শৰে ছটিয়া আসিলেন। ভৃত্য রঘুনাথ গোরুর জাব দিতেছিল প্রভূর সাহায্যার্থে বঁট হাতে ছটিয়া আসিল। জামাই অপ্রতিভ হইয়া বুঝাইয়া দিলেন “তিনি বাঙ্গালিদের বদ বিশ্বাস দেখিয়া ঈশ্বরের নিকট অনুতপ্ত হৃদয়ে অনুতাপ করিতেছিলেন এবং তাহাকে ডাকিতেছিলেন এইমাত্র অপরাধ। " . এই কথায় সকল গোল মিটিয়া যাইল। শাশুড়ী আবার নূতন করিয়া বাট সাজাইয়া আনিয়া জামাতার হস্তে অর্পণ করিলেন। এবার আর তিনি ঘোমটা দিয়ে আসিলেন না, কারণ ইতিপূর্বেই ঘোমটা খুলিয়া জামাতার সহিত কথা কহিয়া ফেলিয়াছেন। ; জলযোগ করিয়া জামাই বাবু বহিৰ্ব্বটতে প্রস্থান করিলে শ্যামামুন্দরী লুচি ভাজিতে যাইলেন এবং মালতী কোথায় জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন জামাই বাবু তাকে কি বলায় শয়ন করি। কেবল কাদিতেছেন। এই কথা শ্রবণে মনে মনে মহা দুঃখি তা হইলেন कद९ ষষ্ঠীবাটার কিছুমাত্র আমোদ উপভোগ করিতে পারিলেন না। যথাসময়ে লুচি ভাজা শেষ হইলে জামাই আসিয়া আহারে বসিলেন, শাশুড়ি একথাল লুচি ও মিষ্টান্ন জামায়ের কোলে দিয়া যাইলেন। রাধানাথ এই সময় ছুটিয়া গিয়া পাশের বাড়ী হইতে একবাটা রাধা পাটার মাংস চাহিয়া আনিয়া জামায়ের কোলে দিয়া কছিলেন “ বাবাজী, লুচি দিয়ে এই মহাপ্রসাদ খাও । ” পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে জহরিলাল একজন ঘোর ব্রাহ্ম সুতরাং পাটার মাংস আহার করা দূরে থাক, তিনি মৎস্য পৰ্য্যন্ত আহার করিতেন না। র মাংস দিয়া মহাপ্রসাদ বলায় দ্রব্যটা কি তাহাও স্থির করিতে পারি5. ; সুতরাং ভোজন লালসায় হাত দিয়া দেখেন সৰ্ব্বনাশ ! সতীত্ব নষ্ট করিয়া দিয়াছে। আমি “ ওয়াক ” “ ওয়াক “ শব্দে ছটিয়া গিয়া বমী করিতে বসিলেন। জামাতার অকস্মাৎ এদশ ঘটিল কেন না জানিয়া শ্যামা সুন্দরী তালবৃন্ত হস্তে চুটিয়া গিয়া ব্যজন করিতে বসিলেন। বহির্বাটী হইতে রাধানাথ চুটি। আসিয়া কারণ জিজ্ঞাসা করায় শ্যামান্বন্দরী কহি লেন “ বোধ হয় মাংসে মাচি পড়িয়াছিল।