পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পদ্রুম। שא8O “ তা হবে না, কে তুমি বলে যাও। আর ব্যাগ রেখে তোমাকে ঝাটা মুখে করে বাহির হতে হবে ৷ ” н 曾 源 জহরি । তোকে নাম বলবো তুই বেটা কে ? রাইচরণ। বটে ! আমি কে ? আমায় নাম বলবি কি না বল ? এক শ্বেত করবীর আঘাত । - প্রহারে জহরলালের চক্ষু ছল ছল করিক্তে লাগিল, তিনি দ্রুতপদে বাটীর বাহির হইলেন । শ্যাম কহিলেন “ রাইচরণ ! বাছার বোধ হয় বড় লেগেছে । ” রাইচরণ। মা ঠাকুরুণ, ওয়ার কিছুই হয় নি। লেগেছে সেই অন্তরে যিনি বসে আছেন। এক্ষণে আপনার এক জন এক ঘটা জল নিয়ে বাটীর বাহিরে যান। বাটীর বাহির হলেই উনি মুচ্ছ যাবেন, দাত লাগবে। এই কথা শ্রবণে শ্যামামুন্দরী এবং অন্যান্য স্ত্রীলোকের জলের ঘট হাতে দ্রুতপদে বাহির হইলেন ; কিন্তু জহরিলালকে আর দেখিতে পাইলেন না । তখন শ্যামাসুন্দরী উচ্চ রবে কাদিয়া বলিলেন “ ও মা ! আমার কি হবে! ওরে, এত গুলো লোকে রোগ ঠাউরাতে না পেরে আমার পাগল জামাইকে ডাইনে খেয়েছে বলে বাটীর বাহির করে দিলে, এখন আমি কোথায় যাই ? পাগল মানুষ খুন জখম করে বসলে আরতে বাছাকে ফিরে পাবো না। ” কৰ্ত্তা, গিন্নিকে অনেক প্রবোধ দিয়া জামাতার অন্বেষণে বাহির হইলেন। শ্যামামুন্দরী মুখের ষষ্ঠীবাটার দিন দুঃখে ধূল্যবলুষ্ঠিত হইয়া হায়! হায়! শব্দে রোদন করিতে লাগিলেন । এ দিকে যুবতী কিরণময়ীরও হরিষে বিষাদ । তিন বৎসরের পর এই প্রথম স্বামি-সমাগম-দর্শনে পরম আহ্বলাদিত হইয়। মনে মনে কত নুতন নুতন আশা করতেছিলেন। স্বামীর সহিত রজনীতে প্রথমে কি কথা কহিবেন, কি ভাবে রহিবেন কত কি ভাবিতেছিলেন, সে সমস্তভাব দুর হইল। তিনি নিজ শয়ন কক্ষে শয়ন করিয়া উপাধানে মুখ লুকাইয়া কাদিতে লাগিলেন এবং মনে মনে কহিলেন “ বোধ হয় নাথের অামার বেশী বিদ্যা হওয়াতেই ক্ষেপে উঠেছেন। আহা ! এরূপ বিদ্যালাভ অপেক্ষ স্বামী আমার কেন নিগুৰ্ণ হয়ে রহিলেন না। আমি এক সন্ধ্যা শাক অন্ন খেয়েও তাকে নিয়ে মুর্থী হতাম। এক্ষণে বাবা শীঘ্র শীঘ্র ফিরে এসে মু খবর দিলে বাচি । উঃ ! মা, প্রাণ যায় ! আহা ! এই মধের