পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষার নমনীয়তা 86 & খ ধাতুর অর্থ যাওয়া এবং প্রাপ্ত হওয়া (খ গতিপ্রাপণয়োঃ)। যখন স্বামী এবং বৈশ্য বুঝাইবে, তখন ঐ ঋ ধাতুর উত্তর যৎ প্রত্যয় করিয়া অর্ঘ্য শব্দ সিদ্ধ করিতে হইবে। বাণিজ্যের কারণ বৈশ্যের দেশ বিদেশে যাইয়া থাকেন, তৎকারণে তাহাদিগকে অর্ঘ্য বলে (বাণিজ্যীয় দেশান্তরমূছতীতি অৰ্য্য: ) । আবার ঐ ঋ ধাতুর অর্থ যখন প্রাপ্ত হওয়া হইবে, তখন উহার উত্তর ণ্যৎ প্রত্যয় করিয়া আর্য্য শব্দ হয়। আর্য্যবংশীয়েরা ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য জাতির নিকট পূজা ও দান পাইতেন। এই জন্য র্তাহাদিগকে আর্য্য বলিত। (আর্য্যো ব্রাহ্মণঃ প্রাপ্তব্য ইত্যর্থ । ভট্টোজিদীক্ষিত: )। ব্রাহ্মণেরই আর্যজাতির মধ্যে প্রধান। তাহার! জীবিকানিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত কথন কৃষিকৰ্ম্ম করেন নাই। স্বষ্টির শৈশবাবস্থায় যখন আতিথ্যসৎকার ছিল না ; কেহ অভ্যাগত ক্ষুধাতুরকে আপনার অর্জিত কোন দ্রব্য দান করিত না ; তৃষ্ণাৰ্ত্ত হও বা ক্ষুধাৰ্ত্ত হও, স্বয়ং তার জন্য চেষ্টা কর,যখন এইরূপে সকলেই স্ব স্ব প্রধান ছিল, কেহ কাহারও সহানুভূতি প্রত্যাশা করিত না, তখন আর্যজাতির পশু পালন করিতেন এবং বনের ফল, মূল, পত্রাদি ভক্ষণ করিতেন। উড়ি ধান্য ও অন্যান্য ধন্যও স্বভাবতঃ প্রচুর জম্মিত, কেবল পর্জন্যদেব কৃপা করিলে খাদ্যসামগ্রীর কিছুই অসদ্ভাব থাকিত না। ব্রাহ্মণের যেরূপ ধৰ্ম্মভীরু ছিলেন, তাহাতে কস্মিন কালে যে তাহারা চাস করিতেন, এমন বিশ্বাস হয় না। আবার দশ জনের কুহকে পড়িয়া যদি আমরা তেমন কথায় বিশ্বাস করি, তবে তাহাদের ধৰ্ম্মকুণ্ঠতাকে অঙ্গহীন করা হয়। ভূমিকৰ্ষণের সময় কৃষক ভূমি ভেদ করিয়া, বৃক্ষ ছেদন করিয়া, এবং কৃমি কীটাদি নাশ করিয়া অনেক পাপে লিপ্ত হয়। সে কারণে ব্রাহ্মণের কৃষিকৰ্ম্মে দোষ দেখাইতেছেন— ব্রাহ্মণশ্চেং কৃষিং কুৰ্য্যাং তন্মহাদোষমাপুয়াং। (পরাশরঃ) ব্রাহ্মণ কৃষিকৰ্ম্ম করিলে মহাপাতক হয়। কিন্তু যদ্যপি কোন ব্রাহ্মণ কৃষিকৰ্ম্ম করেন, তবে স্বহস্তে করিবেন না, শূদ্র কৃষক দ্বারা চাস করাইবেন— } সট কৰ্ম্মসহিতোবিপ্রঃ কৃষিকৰ্ম্ম চ কারয়েৎ । ( পরাশরঃ) ব্রাহ্মণ ঘট কৰ্ম্ম সম্পন্ন হইয়। কৃষিকৰ্ম্ম করাইবেন।