পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8QV) কল্পদ্রুম। কৃষিকৰ্ম্মের আয়ুষঙ্গিক গুরুতর দোষের কথা কহিতেছেন— সম্বৎসরেণ যং পাপং মৎস্যঘাতী সমাপ্পয়াৎ। অয়োমুখেন কাঠেন তদেকাহেন লাঙ্গলী ॥ । মৎস্যঘাতী জেলে এক বৎসরে যে পাপ করে, কৃষক লাঙ্গলের মুখে এক দিনে সেই পাপ করিয়া থাকে। ব্রাহ্মণ শূদ্রের দ্বারা চাস করাইয়া লইবেন বটে, তবু ভূমিকৰ্ষণজাত পাপের প্রায়শ্চিত্ত চাই। সেই জন্য খলযজ্ঞের ব্যবস্থা করা হইতেছে— কর্ষকঃ খলষজ্ঞেন সৰ্ব্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে । ( পরাশয়: ) খামারে ধান্য দান করিলে সকল পাপ হইতে মুক্ত হয়। এইরূপে ব্রাহ্মণের কৃষিকৰ্ম্মের নিষেধ দেখা যায়। যে ব্রাহ্মণ আৰ্য্যজাতির শ্রেষ্ঠ , তিনি কখন কৃষিকৰ্ম্মে লিপ্ত হন নাই, ইহা যখন স প্রামণ হইতেছে, তখন আর্য্যজাতীয়েরা কৃষিকাৰ্য্য করিতেন বলিয়া আর্য্যনাম প্রাপ্ত হইয়াছেন, শাব্দিকদিগের এই ব্যুৎপত্তি বিস্ময়াবহ সন্দেহ নাই। যদি বল সভ্যতা উদিত হইলে এই সকল ব্যবহার প্রচলিত হইয়াছে, উহাতে আর্য্যবংশীয়দিগের আদিম অবস্থা ঠিক হয় না। সে কথা সত্য ; কিন্তু অক্ষয় বাবু লিখিতেছেন—“ মনুষ্যের প্রথমে আসিয়াখণ্ডেরই অধিবাসী ছিলেন, এইরূপ একটা জনপ্রধাদ সৰ্ব্বত্র প্রচলিত আছে। ” কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, আর্য ঋষিগণও ফল, মূল, কন্দ, নীবার এবং দুগ্ধ সেবন করিয়া প্ৰাণ ধারণ করতেন, এ প্রবাদও কি সৰ্ব্বত্র প্রথিত নাই ? দুষ্মন্ত রাজা কুলপতি কাশ্যপের তপোবনে প্রবেশ করিতেছেন, আশ্রমের নিকটে শুকপক্ষীর শাবকদিগের মুখ হইতে নীবরকণা পড়িয়াছে দেখিয়াই জানিতে পারিলেন— তপোবন অতি নিকটে— নীবারা; শুকগর্ভকোটরমুখভ্রষ্টাস্তরূণমধঃ । ( অভিজ্ঞানশকুন্তলং ) ইউরোপীয় শাদিকের অন্য ভাষার সঙ্গে মেলন করিবার জন্য সচরাচর যে সংস্কৃত শব্দগুলি উদ্ধৃত করিয়া থাকেন, সেগুলি বিশুদ্ধ ও মার্জিত শব্দ। ংস্কৃত ভাষা যখন সুশৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়া একটা নির্দিষ্ট প্রণালীতে আসিয়া দাড়াইয়াছিল, তখন সেই সকল শব্দের স্বাক্ট হইয়াছে। কথাবার্তা মনের ভাব ব্যক্ত করিবার একটী সামান্য সঙ্কেতমাত্র, এ ভাবিয়। আর্য্যেরা যখন আর চুপ করিয়া ছিলেন না, ভাষা একটা উপাদেয় সামগ্রী ; ভাষাকে বেশ ভূষায় সাজাইতে হয়, রসাল করিতে হয়, এ বোধ যখন তাহাদের হইয়াছিল