পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“86ኳ” কল্পদ্রুম। হইল, সংস্কৃতের সঙ্গে তার কিছুই সাদৃশ্য নাই। বিদেশে সংস্কৃত ভাষার একখানি পুস্তকও নাই,-পূৰ্ব্বতন কোন চিকুও নাই । যদি বল ইউরোপে ধৰ্ম্ম-বিপ্লব ও রাজ-বিপ্লব বশতঃ প্রাচীন আচার, ব্যব: হার, ভাষা সমস্তই এককালে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি,— ভারতে কি রাজ-বিপ্লব,ধৰ্ম্ম বিপ্লব ঘটে নাই ? বোধ করি ভারতের রঙ্গভূমিতে সমর-তরঙ্গ যত খেলা করিয়াছে, এখানে নানা সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মের যত বিপ্লব ঘটয়াছে, পৃথিঙ্কর কোন খণ্ডের কোন অংশে কখন এমন ঘটে নাই। সেই জন্যই ত ভারত একেবারে উৎসন্ন গিয়াছে। স্বষ্টির প্রাক্কাল হইতে এখন পৰ্য্যন্ত বিদেশীয় শূরগণরূপ শনির দৃষ্টি ভারতকে কেবল দগ্ধ করিতেছে। তাহার উপর আবার ঘরাও বিবাদ—ভারতে আছে কি ? দিন দিন ভারত কেবল শ্ৰীহীন ও শক্তিহীন হইয়া পড়িতেছে"। এত বিভ্ৰাট ঘটিয়াছে,—তবু তপোবনবাসী ঋষিগণ বুকে করিয়া সংস্কৃতরত্ন রক্ষা করিয়াছিলেন। অন্য দেশেও যত বিঘ্ন বিপত্তি ঘটুক না, যদি সংস্কৃত তথাকার সম্পত্তি হইত, কোন না কোন সম্প্রদায়ে তাহার কিছু কিছু ধ্বংসাবশেষ থাকিত সন্দেহ নাই । - আর এক কথা -প্রচীন জাতিদিগের বর্ণমালা দেখ, লিথিবীর ধরণ দেখ । আৰ্য্য, ইহুদি, আরবি, পারসী এবং মিসর দেশীয়েরাই প্রাচীন জাতি । আর্য্যদিগের সংস্কৃত ভাষার অক্ষর সর্বাপেক্ষ অধিক এবং সংস্কৃত ভাষায় বাম দিক হইতে দক্ষিণ দিকে লিখিয়া যাইতে হয়। ইহুদি, আরবী, পারসীর অক্ষর অপেক্ষাকৃত অনেক অল্প এবং ঐ সকল ভাষায় দক্ষিণ দিক হইতে বাম ভাগে লিখিয়া আসিতে হয় । সংসারে সকল বিষয় কেবল উত্তরোত্তর উন্নতিমুখে ধাবিত হইতেছে । আজ একটী বিষয় একরূপ, কাল দেখিবে তাহার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কিছু বাড়িয়াছে, আবার দশ বৎসর পরে দেখিবে,তাহার কোন খানে একটু অঙ্গহীনতা নাই। কিন্তু উপরে যে সকল প্রাচীন জাতির কথা উল্লিখিত হইল, তাহদের সকলেরই স্বতন্ত্র ভাব। বাকীয়া প্রভৃতি অঞ্চলে যদি আর্য্য জাতির আদিম বাসস্থান হইত,তাহা হইলে পারস্যদিগের বর্ণমালায় এবং লিখিবার ধরণে আমরা সংস্কৃতের অনেক সাদৃশ্য দেখিতে পাইতাম। দুই একটা শব্দ এবং ঐতিহাসিক কোন উপন্যাসের উপর নির্ভর করিয়া অধিক বাগাড়ম্বর করা উচিত নহে। চারি দিক দেখিয়া বিচার করাই কৰ্ত্তব্য। বাম দিক হইতে দক্ষিণ দিকে লিখিয়া আসিতে যেমন