পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb”o _ कष्ट्रयज्ञ । প্রয়োজনানুরূপ বিদ্যা শিক্ষা কর, আরও অধিক কর । তোমার দ্বারা অন্যের উপকার হউক। তুমি স্বজাতিকে ও স্বদেশকে উন্নত কর। যাহারা উন্নভির যথার্থ মৰ্ম্ম বুঝিয়াছেন, তাহাদের আশার কিছুতেই নিবারণ হয় না, তাহদের কিছুতেই সন্তোষ নাই। এই কথার আর অধিক প্রমাণ দিতে হইবে না, বিজ্ঞান-অনুশীলনের ফলভূত যে দাহ্য কার্পাসের বিবরণ লিখিতেছি, তাহাই আমাদের কথার বিশিষ্ট প্রমাণ । বারুদ যে কি পদার্থ, তাহা কাহারও অবিদিত নাই । ইহাতে পৰ্ব্বত উৎপাটিত হয়, সিন্ধু প্লাবিত হয়, মেদিনী কম্পিত হয় ; কিন্তু দাহ্য কাপাস আবার প্রলয়কালের কালানল—বুঝি রুদ্রতেজ তাহাতে নিহিত আছে। বারুদের যে তেজ, যে বিক্রম—তৎপদে আর অন্য পদার্থের বিনিয়োগ আমাদের চক্ষে আবশ্যক দেখায় না, যা হইয়াছে, আশাতিরিক্ত তেজস্কর দ্রব্য হইয়াছে—আর কেন ? কিন্তু, যাহারা উন্নতির গুণ বুঝিয়াছেন, তাহারা কখনই অল্পে সন্তুষ্ট থাকিতে পারেন না, তাহীদের উত্তরোত্তর আরও উৎকৃষ্ট দ্রব্য চাই । এই উন্নতির আশায় চালিত হইয়া এই দিন দাহ্য কার্পাসের গুণ পরীক্ষা হইতেছে। এখন এই মহাপদার্থ কিসে প্রস্তুত হয়, উদ্ধি পাঠককে জ্ঞাত করিতেছি। বারুদের কি কি উপকরণ, বোধ করি সকলেই জানেন,-ইহাতে তিনটা মাত্র দ্রব্য আছে, হাঙ্কিকাঠের কয়লা চূর্ণ, গন্ধক এবং সেরা। বারুদে অত্যন্ত তাপ দিলে, কি এক কণা আগুন লাগাইলে উহা প্ৰজলিত হইয়া উঠে। বারুদ ঐরপে জলিয়া উঠিবার কারণ কি ?—অঙ্গার ও গন্ধক সহজেই অন্নজানে পরিণত হয় (oxidisable) অর্থাৎ ঐ দুই দ্রব্য সহজেই অগ্নি স্পর্শে জলিয়া থাকে। বায়ুতে কাঠ অত্যন্ত তপ্ত হইলে তাহাতে আগুন লাগে—আবার গন্ধক তপ্ত হইলে তাহাতে আরও শীঘ্ৰ আগুন লাগে। কাষ্ঠে ও গন্ধকে অম্লজান আছে বলিয়াই উহার সহজে দগ্ধ হয়। রাসায়নিকেরা পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন অঙ্গারে ক্ষারজানের ভাগ অধিক। গন্ধক বহুবিধ খনিজ দ্রব্যে পাওয়া যায়। এই দুটা পদার্থ বায়ুতে তপ্ত করিলে সহজে জলিয়া থাকে ; কিন্তু যে দ্রব্যে অম্লজান আছে, যদি অঙ্গার ও গন্ধক তৎ সহযোগে নীত হয়, তবে তাহারা স্পর্শমাত্র আরও শীঘ্ৰ জলিয় উঠে। যবক্ষারে যথেষ্ট পরিমাণ অন্নজান আছে, সে কারণে বারুদের দাহ্যগুণ বৃদ্ধি করিবার নিমিত্ত উহাতে সোরা মিশ্রিত করা হয় ।