পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজের বর্তমান শোচনীয় অবস্থা । Qペ) 4ಇ যাগযজ্ঞের মধ্যে পুত্রের অন্নপ্রাশন ও স্ত্রীর সাধ ভক্ষণই প্রধানরূপ গণনীত হইয়া থাকে। কাজে কাজেই অন্যান্য বৈদিক যজ্ঞের স্থান সমাবেশ হয় না। এখন পক্ষান্তরে পুরোহিত মহাশয়দিগের নিকট হইতে প্রতি দক্ষিণ স্বরূপ যদি যজমান কিছু লষ্টতে পুরেন, ছাড়িয়া দেন না। এখন “ পুরের ” যেমন ত্র, “ পুরোহিত ” দিগের ও তেমনি দুর্দশা হইয়া উঠিয়াছে । শিষ্যদিগের ভাবগতিক দেখিয় তাহারা ও পুপি ও পাজি নূতন ধরণের বাহির করিয়াছেন. যাহাদের উপর আশ্রমের হি হুচিস্তার ভার ছিল, তাহারা নিজ নিজ ব্রাহ্মণীদের অভাব অনটন মোচনেই সদা চিস্তিত। শিষ্যের হিতের মপ্যে শ্রাদ্ধের তিথি নক্ষত্র এড়াইতে পারে না ! তাহার এখন শিষ্যদের .আদর্শ না হইয়া শিষ্যচরিত্র তাহদের আদর্শস্থল হইয়াছে কি না বিচ:র করিয়া দেখুন। (৩) “ এবং গোমিথুনং দ্বে বা বরাদাদায় ধৰ্ম্মতঃ । কন্যাপ্রদানং বিধিবদার্মে ধৰ্ম্ম: স উচ্যতে ॥ " তৃ । ২৯ । ঐ এক গাভী ও এক বৃষ ইহাকে গো-মিথুন কহে । ধৰ্ম্মার্থে (যজ্ঞাদির সিদ্ধির জন্য ) এইরূপ এক বা দুই গো-মিথুন বরপক্ষ হইতে লইয়া ঐ বরকে যে কন্যা দান, উক্ত বিবাহকে আর্ষ বিবাহ বলা যায়। পুরাতন যাগ যজ্ঞাদির সঙ্গে সঙ্গে এই প্রকার বিবাহও অস্তহিত হইয়াছে। পরস্তু যাগ যজ্ঞাদির সিদ্ধার্থে না হউক কৃষিকার্যোর সহায়তার জন্য বেস্থার দেশে আজও বিবাহকালীন বরপক্ষ ও কন্যাপক্ষ হইতে গবাদি পশুর আদান প্রদান হইয়। থাকে। প্রাচীন কালে এই উদ্দেশ্যেই বোধ হয় বুিবাহকালীন গোমিথুন দানের ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। আজ কাল আমরা “বাৰু” হইয়াছি এ জন্য “ গোমিথুনের পরিবর্ভে “ ঘড়ি আংটি ” দধনসামগ্রীর মধ্যে ছেলে ভুলাইবার প্রধান অলঙ্কার হইয়া দাড়াইয়াছে ! ( ৪ ) সহোভেী চরতাং ধৰ্ম্মমিতি বাচান্থভাষ্য চ কন্যাপ্রদানমভ্যর্চ্য প্রাজাপত্যে বিপিঃ স্বতঃ । তৃ। ৩০ । তোমরা উভয়ে “ গাহ স্থ্য ধৰ্ম্মের আচরণ কর ” ਬੜੇ কন্যাকে এই কথা বলিয়া অৰ্চনা পূর্বক ঐ বরকে যে কন্যা দান, উহাকে প্রাজাপত্য বিবাহ १ठो| थाम्न । “ গাহৰ্থ্য ধৰ্ম্ম " ৰে কি পদার্থ, তাহা যে কতদূর উচ্চ ও কত মহাত্মপূর্ণ, তাহা এখনকার চাকুরে কন্যাকৰ্বারা অল্পই জানেন। একারণ এ পবিত্র ভাব