পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজের বর্তমান শোচনীয় অবস্থার কারণ কি ? ( তৃতীয় পশু যষ্ঠ সংখ্যা ৩৩৭ পৃষ্ঠার পর । ) প্রকৃত স্ত্রীশিক্ষা । বঙ্গসমাজে এক্ষণে স্ত্রশিক্ষা সংক্রান্ত তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছে । সহরে সহরে ওiামে গ্রামে বালক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গে বালিকা বিদ্যালয়ের সংস্থাপনা দেখিয়া সমাজ-হিতৈষিমাত্রেই আহলাদ প্রকাশ করিয়া থাকেন। যাহাদের মনোমপ্যে বিদ্যালোক প্রবেশ করিয়াছে, তঃহাদের এ সম্বন্ধে পূৰ্ব্ব সঞ্চিত ভ্রম ও কুসংস্কার নিঃসন্দেহ বিদূরিত হইয়াছে, র্তাহাদিগকে নারীশিক্ষার আবশ্যকতা বুঝাইবার জন্য বিশেষ ক্লেশ পাইতে হয় না । ইহা যে অবশ্য কৰ্ত্তবা, তাহা তাহারা সহজেই উপলব্ধি করিয়া থাকেন। যে সমাজে আজও “ বীণা পুস্তক-ধারিণী " সরস্বতী দেবীর পূজা প্রচলিত আছে, যে সমাজ আদ্যাপি র্তাহাকে “ শ্রেষ্ঠ শ্রতীনাং শাস্ত্রাণাং বিদুষাং জননী পর৷ ” বলিয়। স্তব করিয়া থাকেন, সেই “ পরমান্দ স্বরূপ বিদ্যাধিষ্ঠাত্রী * যে সমাজের “ সৰ্ব্বজ্ঞানাত্মিক৷ ” হইয়া বিরাজ করিতেছেন, সেই হিন্দু সমাজ যে সেই নারীকুলের অবমাননা করিয়া এতাবৎকাল পর্য্যন্ত স্ত্রীশিক্ষা দানে বেদাদি শাস্ত্র পঠন পাঠনে পরমুখ ছিল, ইহা অল্প পরিতাপের বিষয় নহে । আর্য্যবরণীয় মহাতেজ মহির্ষিগণ গম্ভীর স্বরে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, “ গৃহস্থঃ পালয়েৎ দারান বিদ্যামভ্যাসয়েৎ সুতান । কন্যাপ্যেবং পালনীয়া শিক্ষণীয়াতিযত্নতঃ । ” ( স্থতি ) অর্থাৎ । গৃহস্থ স্বীয় স্ত্রীকে পালন করিবেন, পুত্রদিগকে বিদ্যাভ্যাস করাইবেন, এবং কন্যাকে ও ঐরূপ পালন করিবেন ও অতি যত্বের সহিত শিক্ষা দিবেন। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় যে যাহার এই সব শাস্ত্র মানেন, তাহারা যে কোন সাহসে কোন যুক্তিতে সমাজাঙ্গ বামাদিগকে বিদ্যাধনে বঞ্চিত করিতে চান, ইহা বুঝিয়া উঠা যায় না। হিন্দুসমাজে বিদ্যার অাদর যে পরিমাণে হইয়া গিয়াছে, এরূপ পৃথিবীর অন্য কোন দেশে অদ্যাপি হইয়াছে কি না * সন্দেহ । পাছে সমাজে কখন বিদ্যার অনাদর হয়, এই ভয়ে তাহার