পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৯৫

হিন্দুসমাজের বর্তমান শোচনীয় অবস্থার কারণ কি? ৪৯১ হয়। কেননা যে দেশে প্রকৃত পুরুষ শিক্ষাই নাই, সে দেশে প্রকৃত স্ত্রীশিক্ষা যে আকাশ কুস্থমবৎ প্রতীয়মান হইবে, ইহাতে বিচিত্র কি ? বলিতে কি ইদানীন্তন আমরা নিজে যেমন বিশুদ্ধ বিদ্যারোকে শরীর মন ও প্রাণকে সমুজ্জল করিতে পারি নাই, আমাদের প্রিয় হিন্দুসমাজ যেমন অস্তমিত । শোভন জ্ঞানসূর্য্যের জ্যোতিতে পুনঃ জ্যোতিষ্মান হইতে পারেন নাই, আমা" দের প্রিয়তম ভারতবর্ষ যেমন ক্রমশঃ বিজাতীয় ভাব মত ও শিক্ষাদোষে দেবভাষা, দেবভাব হইতে পরিচুত হইয়া দিন দিন হতমান, হতগৌরব ও হৃতসৰ্ব্বস্ব হইতেছে, আমাদের আদরিণীদের বাহ্য ও অন্তরিক অবস্থ৷ যে তদবস্থাপন্ন দুঃখদায়ক হইয়া উঠিয়াছে, ইহা স্বীকার করিতে ক্লেশ হয়, সন্দেহ নাই । - যদি আমরা স্বয়ং বিদ্যার যথার্থ তাৎপর্য্য এবং জ্ঞানের উদেশ্য হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিতাম, তাহা হইলে আমাদের জন্মভূমি দিন দিন “ ক্লেশাৎ ক্লেশং তয়াৎ ভয়ং ”—ক্লেশ হইতে ক্লেশে এবং ভয় হইতে ভয়ে দন্দহ্যমান হইত না। তাহ হইলে আমরা কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া, নাচ তামাসা দেখিয়া, গুলি গাজা খাইয়া, মদ তাড়ি গিলিয়া, জুয়া বেশ্যায় মজিয়া, থিয়েটর পাঁচালী করিয়া, দলে দলে বৎসর বৎসর দুঃখী কেরাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি করি তাম না। . আমরা নিজে যখন দেবদ্যুতি বিদ্যাকে “ অর্থকরী ” বলিয়া গ্রহণ করিয়া থাকি, এবং তদ্বারা যেন তেন প্রকারেণ অনর্থকর অর্থ উপার্জন করিতে পারিলেই আত্মাকে কৃতার্থমন্য জ্ঞান করিয়া থাকি, এবং যখন পরমারাধ্য। বিদ্যাদেবীকে নিৰ্ভয়ে অবিদ্যালয়ের দাসী করিতে সাহসী হইয়াছি, তখন আমরা যে সহজে স্ব ইচ্ছায় আমাদের কুলকামিনীদিগের মানসিক জটিলতা, ७ श्लट्नङ्गः ভ্রম প্রমাদ বিদূরিত ও আত্মোন্নতি সাধিত করিবার উদ্দেশে ঐ পরম প্রকৃতির সহচরী করিব, ইহা সহসা বলিতে প্রবৃত্তি হয় না । ৰঙ্গদেশে প্রথমতঃ যখন ইংরাজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন আমাদের বিদ্যার দৌড় কেরী ও মাস মান প্রণীত গ্রন্থেই শেষ হইত, তখন পুরুষশিক্ষা সম্বন্ধে জনসাধারণের যেমন কুসংস্কার ও ভয় ছিল, এখন যে যে স্থানে স্ত্রীশিক্ষার তরঙ্গ উঠিতেছে, সেই সেই স্থানের অধিকাংশ অশিক্ষিত লৈাকের DDDBB D DDDS BBB BBBB BDDS DD S DDD DD BBBB রীতিমত বিশুদ্ধভাবে জ্ঞানোপার্জন করিতে পারিতাম, তাহা হইলে আমা