পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ঐহর্ষ। Qミ、> অবস্তিনগরে ছিলেন, তদ্বিষয়েও কোন সন্দেহ নাই। মেঘদূতের অবস্তিনগরের প্রতি তাহার একটুকু বিশেষ অনুরাগ দৃষ্ট হয়। মেঘ উত্তর মুখে যক্ষালয়ে যাইতেছে, উজ্জয়িনী দিয়া যাইতে হইলে কিছু দূর হইয় পড়ে, কিন্তু তবু অবস্তিনগর দেখিয়া যাইবার নিমিত্ত মেঘকে অমুরোধ করা হইতেছে— বক্রঃ পন্থীযদপি ভবতঃ প্রস্থিতস্যোত্তরাশাং সোধোৎসঙ্গপ্রণয়ুবিমুখোমান্ম ভুরুজ্জয়িনাঃ ! তুমি উত্তরাভিমুখে যাইতেছ, কিছু বক্র পথ হইবে বটে কিন্তু উজ্জয়িনীর সৌধ স্পর্শ মুখ অনুভব করিয়া যাইতে বিমুখ হইও না । . মনের বিশেষ অনুরাগ না থাকিলে পথশ্রান্ত ব্যক্তিকে এমন অনুরোপ दद्भY यांझ ना । কালিদাসের পিতার নাম কি, তিনি কার গর্ভে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তদ্বিষয় আমরা কিছুই জানি না। এই সমস্ত বৃত্তান্ত জানিবার নিমিত্ত আমাদের অত্যন্ত কৌতুহল জন্মে। কালিদাস সম্বন্ধে আমরা একটা তুচ্ছ বিবরণ পাইলেও তাহ পরম পদার্থ জ্ঞান করি ; কিন্তু কবি স্বনামে ধন্য— কাজেই তাহার পিতৃপুরুষের নামও জানা সহজ নয়। কালিদাসের পিতা নিতান্ত দীন হীন দরিদ্র ছিলেন, ভিক্ষা করিয়া কায়ক্লেশে দিন যাপন করিতেন । স্বয়ং কালিদাস একজন আভীরের গরী চরণইতেন। মিথিলায় এই নিয়ম ছিল—ব্রাহ্মণকুলে কেহ মুখ থাকিলে রাজা তাহাকে নগর হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিতেন। কালিদাস ব্রাহ্মণপুত্র হইয়া নীচ ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হইয়াছেন দেখিয়া রাজা তাহাকে নগর হইতে দূরীভূত করিলেন। মনোদুঃখে মান হইয়া তিনি স্থির করিলেন—“ আমার এ কষ্টের জীবনে আর কাজ নাই, যাই ভাগীরথী জলে গিয়া প্রাণত্যাগ করি * । এই ভাবিয়া কালিদাস জাহ্লবীজলে ঝাঁপ দিবার নিমিত্ত হস্তপদ বাধিতেছেন, এমন সময়ে এক সাধক অৰ্দ্ধমুদ্রিত পিঙ্গল লোচনে সীধুপানে ঢল ঢল হইয়। সেখানে আসিলেন। “ বৎস! তুমি ও কি করিতেছ? ”—এই বলিয়া শিশুর হস্ত ধরিলেন । কালিদাস বিনীতস্বরে তাহার সমস্ত দুঃখ জানাইয়া কাদিতে লাগিলেন। সেই সিদ্ধপুরুষ তখন কহিলেন—“ তুমি খেদ করিও না, আমার সঙ্গে আইস, আমি তোমাকে অচিরে সর্ববিদ্যায় সুদীক্ষিত করিব।” কথিত আছে, মংরাওনীর সন্নিধিস্থ একটা অরণ্যে কালীর প্রতিমূৰ্ত্তি ( ৬৬ )