পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২২ . কল্পক্রম। ছিল। কালিদাস সন্ন্যাসীর সঙ্গে তথায় আসিয়া বিদ্যাশিক্ষা ও দেবীর আরাধনা করিতে লাগিলেন। 通 * এই সময় গৌড়াধিপতি মাণিক্য লক্ষ্মণের কন্যার স্বয়ম্বর কাল উপস্থিত। স্বয়ম্বর ক্ষেত্রের এইরূপ ব্যবস্থা হইয়াছিল-রাজকন্যা লীলাবতী একটা স্ফটিক বেদীতে আসীন ছিলেন। চারি দিকে খড়গহস্ত প্রহরিগণ দণ্ডায়মান, নৃপবালা কাহারও সঙ্গে কথা কহিবেন না। অভ্যাগত রাজপুত্রেরা কিম্বা পণ্ডিতের সঙ্কেতে র্তাহার মৰ্ম্ম বুঝিয় মনোভাব ব্যক্ত করিতে করিতে যদি নিকটবৰ্ত্তী হইতে পারেন, তবেই রক্ষা, নতুবা প্রহরিগণ র্তাহাদের মস্তক চ্ছেদন করিবে। নানা দিদিগন্তর হইতে অনেক পণ্ডিত, অনেক রাজপুত্র আসিলেন কিন্তু রাজকন্যার নিকট যাইতে কাহারও সাহস হইল না । সকলেই লজ্জিত ও অপমানিত হইলেন । এই সমস্ত বাৰ্ত্ত শুনিয়া কশ্মীরদেশ হইতে ধ্রুবাচার্য্য পণ্ডিত সশিষ্যে গৌড়রাজ্যে আসিতেছিলেন । পথিমধ্যে কালিদাসের দীক্ষাগুরু সন্ন্যাসীর আশ্রমে এক রাত্রি অবস্থিতি করেন । ধ্রুবাচার্য্য পণ্ডিত সৰ্ব্বশাস্ত্রজ্ঞ, নিখিল বিদার পারদর্শী— কথোপকথনচ্ছলে কালিদাসকে বুদ্ধিমান দেখিয়া পরদিন প্রাতে যাত্রাকালে তাহাকে সমভিব্যাহারে লইলেন। গৌড়নগরে সকলে উপনীত হইয়া স্বয়ম্বর ব্যাপার দর্শনে চমৎকৃত হইলেন,—কাহারও আর বাঙনিষ্পত্তি হয় না। রাজকন্যার নিকট সাহস করিয়া অগ্রসর হইবেন এমন কাহারও ক্ষমতা নাই । কালিদাস নির্ভীক, নানা রসের আশ্রয় স্থান । তিনি রাজবালার সমীপবৰ্ত্তী হইয়—” নারীর জন্য দশাননের দশ মুণ্ড ছিন্ন হইয়াছে, আমার যদি এক মুও ছিন্ন হয়,—হউক ”। এই বলিতে বলিতে কিসলয়কোমল লীলাবতীর করপল্লব আলিঙ্গন করিলেন । নৃপদুহিত। কবির রসিকতায় সন্তুষ্ট হইয়। তাহাকে পতিরূপে বরণ করিলেন ( ৪ ) { - সস্ত্রীক কালিদাস ধ্রুব:চার্য্য সমভিব্যাহারে কশ্মীর যাত্রা করিলেন । কশ্মীররাজ ভীমগুপ্ত এই বলিয়া নিজ সদস্য ধ্রুবাচাৰ্য্যকে গৌড়ে পাঠাইয়t ছিলেন যে, তিনি কন্যারত্ন লাভ করিতে পারিলে রাজাকেই আনিয়া (৪) চতুষ্পাঠীর পণ্ডিতেরা এই মৰ্ম্মে একটা উদ্ভট কবিতা আবৃত্তি করেন। কবিতাটা প্রকৃত কালিদাসের রচিত কি না, বলা যায় না। কবির বিবাহ সম্বন্ধে আরও উদ্ভট কাহিনী আছে । কেহ কেহ বলেন তিনি কর্ণাট রাজার কন্যার পাণি গ্রহণ করেন। এ বিষয়ের প্রকৃত ঘটনা কিতাহ এখন নির্ণয় করা সহজ নয়।