পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন । ( পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর । ) আহারান্তে দেবগণ পাইচালি করিতেছেন, হঠাৎ দেখিলেন বাসার গেটে এক খানি কাগজ টাঙ্গান রহিয়াছে। পাঠ করিয়া জানিতে পারিলেন, অদ্য অপরাহ্লে চারিটার পর মুঙ্গের আর্য্যসভায় ধৰ্ম্মবিষয়ে একটা বস্তৃত। হইবে । বিজ্ঞাপন দেখিয়া দেবতারা অত্যন্ত বিস্ময়ান্বিত হইয়া পরস্পরে কহিতে লাগিলেন—এ কি ! এই দুর্দান্ত কলির রাজ্য-বিস্তার-সময়ে ধৰ্ম্মের নাম ! ধৰ্ম্মালোচনা ! চল, বস্তৃতা শুনিতে হইবে । বলিয়া, সকলে চারিটা বাজিতে না বাজিতে আর্য্যসভা গৃহে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । উপস্থিত হইয়া দেখেন, একটী দ্বিতল গুহে আৰ্য্যসভা । গুহটী অতি স্বপ্রশস্ত এবং পরিষ্কাররূপে সাজান । গৃহভিত্তিতে আধুনিক আর্ট স্কুলের ছাত্ৰগণের ক্ষোদিত অনেকগুলি সুন্দর সুন্দর হিন্দু দেব দেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি রহিয়াছে। প্রতিমূৰ্ত্তি গুলি এমন পরিষ্কাররূপ অঙ্কিত যে দেবগণ চাহিয়া চাহিয়া দেখিতে লাগিলেন । নারায়ণ কহিলেন “ প্রত্যাগমন সময়ে কলিকাতা হইতে এক সেট খরিদ করিয়া লইয়া যাইবেন । ” ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এ আর্য্যসভাট প্রতিষ্ঠা হইবার কারণ কি ? বরুণ এথানকার কয়েকজন আর্য্যসন্তান দেখিলেন যে আপনার আর্য্যধৰ্ম্ম বা বৈদিক ধৰ্ম্ম ক্রমে ক্রমে লোপ হইতে চলিল । খ্ৰীষ্টান ও ব্রাহ্ম প্রভৃতি সম্প্রদায়ের দিন দিন যেরূপ উন্নতি, হয় ত কিছু দিন পরে আপনার বেদের ও নাম গন্ধ থাকিবে না । কারণ উহ। ত রেজেক্টরি করা নহে । সকলেই বলিবে আমাদের স্ব স্ব প্রণীত । এই আশঙ্কায় উক্ত আর্য্য সস্তানরা লোকের মনে সনাতন ধৰ্ম্মের উদ্রেক করিবার নিমিত্ত এবং লুপ্ত সংস্কৃত বিদ্যার পুনরুদ্ধার করিবার মানসে এই আর্য্যসভা এবং ইহার সংলগ্ন একটা সংস্কৃত পাঠশালা সংস্থাপিত করেন। ইহাদের সাধু ইচ্ছায় সন্তুষ্ট হইয়া মুঙ্গেরের কোন জমীদার এই বাড়িট হরির উদ্দেশে দান করিয়াছেন । আর্য্যসভার সভ্যগণের এমন ইচ্ছা আছে কয়েকজন প্রচারক দেশ বিদেশে পরিভ্রমণ করিয়া ধৰ্ম্মপ্রচার দ্বারা লোকের মনে আর্য্য ধৰ্ম্মের উদ্দীপনা করিবেন । ইহাদের এই সাধু প্রস্তাবে সস্তুষ্ট হইয়া জমীদার রায় অন্নদাপ্রসাদ