পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্তে আগমন । 6 २१ এক শ্রোতা । আহা ! ওকে বিরক্ত করিবেন না । বোধ হয় কথন বস্তৃতা শোনেন নি, তাই বেতালে তালি দিচ্চেন। বক্তা। যেমন কোন আফিসে কতকগুলি বাবু থাকিলে বড় বাবু, ছোট বাবু ইত্যাদি নামে ডাকিতে হয়, তদ্রুপ বহু ধৰ্ম্ম হইতে বিশেষ করিবার জন্য আর্য্যধৰ্ম্ম নাম দিতে হইতেছে। শ্রুতিপ্রতিপাদ্য ধৰ্ম্মই জগতের আদিম ধৰ্ম্ম । অন্যান্য ধৰ্ম্ম ইহা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। যেমন একটী দীপ শিখাতে টীকা ধরাইয়া সেই টীকা গৃহ চালে ধরাইয়া দেও, গুহাগ্নি যেমন দীপ শিখ হইতে পৃথক বলিয়া বোধ হইবে ; তদ্রপ ভিন্ন ভিন্ন দেশের আচার ব্যবহার অনুসারে এক ধৰ্ম্ম নানারূপ ধারণ করিয়াছে। অতএব পৃথিবীর সকল ধৰ্ম্মই এক আর্য্যধৰ্ম্মের মহিমা প্রচার করিতেছে । ( সকলের করতালি ) ব্ৰহ্মা। বেশ বাবা বেশ, খুব বলচে । নারা । ওকি ! সকলে যে অসভ্য বলবে ? ব্ৰহ্মা । বলে আমাকে বলবে, তুই থাম । বক্তা। আর্যধৰ্ম্মানুসারে কাজ করিতে হইলে অগ্রে শরীরগুদ্ধি, পরে চিত্তশুদ্ধি, তৎপরে আত্মশুদ্ধি করিতে হয়, তবে আত্ম আত্মারে দর্শন পাইবে, জীবন সার্থক হইবে । শাস্ত্রবিস্থিত ব্ৰতাদি ও উপবাস দ্বারা শরীরশুদ্ধি হয়, তপ জপ দ্বারা চিত্তশুদ্ধি হয়, উপাসনা দ্বারা আত্মশুদ্ধি হয়। নচেৎ পীড়িত শরীরে স্কৃত ও মিষ্টান্ন খাইলে প্লীহা প্রভৃতি রোগ দেখা দেয় এবং অকালে মৃত্যু গ্রাসে নিপতিত হইতে হয়। দেখ যে ঘৃত ও মিষ্টান্ন স্বস্থ শরীরের বলকারক, তাহাই আবার অমুস্থ শরীরের হলাহল স্বরূপ হইয়া থাকে। যদি কেহ বলেন—মূলশাস্ত্রে একমাত্র ব্রহ্মেরই উপাসনা উক্ত আছে, তবে প্রতিমা পূজা করার আবশ্যকতা কি ? তদুত্তরে আমি বলি প্রতিম। পূজার কালে ধ্যান করিতে হয়। সেই ধ্যানমন্ত্রের দ্বারা ঈশ্বরকে মনোমধ্যে ধারণ করিবার ক্ষমতা জন্মে। অতএব হে জীব! জীবন যদি সফল করিতে চাহ, সাধকমগুলির সঙ্গ লও, তাহাদের উপদেশ গ্রহণ কর, আর সময় নষ্ট করিও না । ধৰ্ম্মই সাক্ষাৎ ঈশ্বর স্বরূপ । ব্ৰহ্মা । খুব বলেছ বাবা । বস্তৃতা শেষ হইলে পুনরায় কয়েকটা ধৰ্ম্মসংগীত হইয়া সভাভঙ্গ হইল । তখন সভ্যগণ একে একে প্রস্থান করিতে লাগিলেন দেখিয়া দেবগণও বাসায় }