পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২৮ н কল্পদ্রুম | আসিলেন। ব্রহ্ম কছিলেন “ আমি মুঙ্গের আর্য্যসভা দেখিয়া পরম পরিতুষ্ট হইয়াছি। যদ্যপি ইহাদের দৃষ্টান্ত অনুসারে প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে ও নগরে নগরে এইরূপ এক একটা ধৰ্ম্মসভা প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং তৎসহ এক একটা সংস্কৃত চতুষ্পাঠী থাকে, তাহা হইলে দেখিবে সত্বরেই লুপ্ত সংস্কৃত বিদ্যার পুনরুদ্ধার হইয়া আবার সত্যযুগ আরম্ভ হইবে । বরণ ! কলিকাতায় চল। আর এখানে অনর্থক কাল বিলম্বের আবশ্যকত। न:झे । * পর দিবস দেবগণ ষ্টেষণে আসিয়া ভাগলপুরের টিকিট লইয়া টুেণে উঠিলেন। টুে,ণ “ ছয় ছয় পাইয়ে, ছছ পাইয়৷ ” শব্দে জামালপুরের অভিমুখে ছুটিতে লাগিল। ব্ৰহ্মা কহিলেন বরুণ ! মুঙ্গেরের অপরাপর বিষয় সংক্ষেপে বল ? বরুণ। মুঙ্গেরে একটা বঙ্গ বিদ্যালয়, একটা দাতব্য সভা, একটা সাধারণ পুস্তকালয় আছে। রামপ্রসাদ নামক একজন জমীদার ভাগীরথী তীরে ইষ্টক নিৰ্ম্মিত যে একটা ঘাট বাধাইয়া দিয়াছেন, সে ঘাটটাও দেখিবার উপযুক্ত। এখানে হিন্দু মুসলমান উভয় জাতির পরস্পর বিলক্ষণ সম্ভাব দেখা যায়, ইহার একাসনে বসিয়া পান তামাক থাইয়া থাকে। মুসলমানের হিন্দুর পর্বে এবং হিন্দুরাও মুসলমানদিগের পর্বোপলক্ষে যোগ দান করিয়া থাকে। ব্রাহ্মণ ও রজঃপুত জাতি ভিন্ন এখানে অপর বর্ণে বিধবাবিবাহ প্রচলিত আছে। মুঙ্গের মটুকী বড় বিখ্যাত। এক সময় এখানে দশ টাকা করিয়া স্বতের মণ বিক্রয় হইয়াছিল। এখানকার কৰ্ম্মকারের উৎকৃষ্ট বন্দুক প্রস্তুত করিতে পারে। কিন্তু উপযুক্ত উৎসাহ ও শিক্ষণভাবে দিন দিন মাটী হইয়া যাইতেছে। এখানকার জল হাওয়া বড় বিখ্যাত। এজন্য বর্ষে বর্ষে অনেক জমীদার ও ধনাঢ্য ব্যক্তি স্থান পরিবর্তনের জন্য আসিয়া থাকেন। মুঙ্গেরের পাথর, পাখা ও ছেলেদের খেলেন বড় বিখ্যাত । এই সময় টেণ" ক্যা কোচ কমাৎ ” শব্দে জামালপুর প্লাটফরমে আসিয়া থামিল। এক দেড়ে সাহেব আসিয়া গাড়ির দ্বার টিকিট দেখিয়া চলিয়া গেল। দেবগণ নামিয়া মেল লাইন টুেণে উঠিতে চলিলেন যাইবার সময় উপ কহিল “ ঠাকুর কাকা ! সাহেবটার কি প্রকাও দাড়ি ! দাড়ি ধরে বুলে বেশ দোল খাওয়া যায় ; " এখানে টে,ণ অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত থামিয়া থাকে। দেবতারা গাড়িতে উঠিয়া দেখেন একটা বাবু পরি